আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২২ ১১:১০ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৪৪৯ বার
১. রাশিয়া এশিয়া এবং ইউরোপ মিলিয়ে। তাই আক্রমণকারী পুতিনের দেশকে বাদ দিলে শুধু ইউরোপের মধ্যে থাকা দেশের মধ্যে এলাকার হিসেবে সবচেয়ে বড় ইউক্রেন। মোটা আয়তন ৬০৩.৬২৮ বর্গ কিলোমিটার।
২. আয়তনে বড় হলেও সেই অনুপাতে জনসংখ্যা অনেকটাই কম ইউক্রেনের। এখানে বাস পাঁচ কোটির কম মানুষের।
৩. বিশ্বের যে কয়েকটি দেশে সবচেয়ে শিক্ষিত মানুষের বাস, ইউক্রেন তাদের অন্যতম। প্রায় ১০০ শতাংশ মানুষই সাক্ষর। যেমন স্বীকৃতি রয়েছে উত্তর কোরিয়ার। তথ্য বলছে, ১৫ বছরের উপরে বয়স এমন ৯৯.৪ শতাংশ বাসিন্দাই লিখতে, পড়তে পারেন। আর ৭০ শতাংশ সাবালকই দশম বা দ্বাদশ শ্রেণি স্তরের শিক্ষিত। উচ্চশিক্ষার হিসেবেও অগ্রণী ইউক্রেন।
৪. ইউরোপ যাদের কাছে ভ্রমণের গন্তব্য তাদের কাছে অন্যতম আকর্ষণ ইউক্রেন। শুধু সৌন্দর্যের জন্য নয়, এই দেশে খাবার থেকে গাড়ি ভাড়া ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেকটাই সস্তা।
৫. ইউক্রেনে গুরুত্বপূর্ণ স্মারকের সংখ্যা অনেক। ইউনেস্কো স্বীকৃত হেরিটজ সাইটের সংখ্যা ছয়। দেশের প্রাচীন সংস্কৃতি ও স্থাপত্যের নিদর্শন দেখা যায় ইউক্রেনের বিভিন্ন প্রান্তে।
৬. বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা সঙ্গীত যন্ত্রের ব্যবহার হয় ইউক্রেনে। এর নাম ট্রেমবিটা। মৃত্যু, বিবাহ থেকে সামাজিক উৎসব সবেতেই ট্রেমবিটা ব্যবহারের রেওয়াজ রয়েছে ইউরোপের এই দেশে।
৭. বিশ্বের গভীরতম পাতাল রেল স্টেশন রয়েচে ইউক্রেনে। কিভের আর্সেনালনা মেট্রো স্টেশনটি মাটি থেকে
৮. ইতিহাসের অনেক ওঠানামা চললেও স্বাধীন ইউক্রেনের জন্ম মাত্র তিন দশক আগে। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পরে ১৯৯১ সালে স্বাধীনতা পায় ইউক্রেন।
৯. খাদ্যাভাস থেকে পোশাক সবেতেই বৈচিত্রে ভরা ইউক্রেন। এখানকার পুরুষেরা বিয়ের সময়ে কনের বাঁ হাতের আঙুল নয়, ডান হাতে আংটি পরান।
১০. শিক্ষা থেকে সংস্কৃতি কিংবা ক্রীড়ার ক্ষেত্রেও অনেক অবদান রয়েছে ইউক্রেনের। এখানেই বিশ্বখ্যাত গান ‘ও সোলে মিও’ জন্ম নেয়।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা