আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ৭ মার্চ, ২০২২ ০৮:৪৮ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৫৪৬ বার
জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেজার বলেছেন, ইউক্রেন থেকে পালিয়ে আসা শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার ক্ষেত্রে জাতীয়তা কোনো ভূমিকা রাখবে না৷
ইউক্রেন থেকে এরই মধ্যে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ ইউরোপের প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন৷
জার্মান গণমাধ্যম বিল্ড আম সনটাগকে ফেজার জানান, আমরা জীবন বাঁচাতে চাই৷ জীবন পাসপোর্টের ওপর নির্ভর করে না৷
বৃহস্পতিবার জাতিসঙ্ঘ জানিয়েছে, ইউক্রেন থেকে দশ লাখেরও বেশি মানুষ প্রতিবেশী দেশগুলোতে পাড়ি জমিয়েছে৷ রোববার সেই সংখ্যা ১৫ লাখে পৌঁছাতে পারে৷
পোল্যান্ড ও জার্মানির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত সাত লাখ ৮৭ হাজার তিন শ' মানুষ ইউক্রেন থেকে পোল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছেন৷ জার্মানিতে এ সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার৷
ইউক্রেন থেকে পালানোর চেষ্টা করার সময় অশ্বেতাঙ্গ শরণার্থীরা বর্ণবাদী আচরণের শিকার হচ্ছেন বলে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে৷ জাতিসঙ্ঘের প্রতিবেদনেও এমন তথ্য উঠে এসেছে৷ এই আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতেই জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই বক্তব্য দিলেন৷
ফেজার বলেছেন, যারা পালাচ্ছেন, তাদের অধিকাংশই ইউক্রেনের নাগরিক৷ অন্য দেশের যেসব নাগরিকের ইউক্রেনে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি ছিল, তারাও সেই পরিচয় নিয়েই আসবেন৷
ইউক্রেন থেকে আসা মানুষদের কোনো জটিল আশ্রয় আবেদন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে না বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী৷ ইউক্রেনিয়ানদের নিরাপত্তায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সহযোগিতাকে ‘ঐতিহাসিক' বলেও উল্লেখ করেন তিনি৷
গত ৩ মার্চ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইউক্রেনের শরণার্থীদের সাময়িক নিরাপত্তায় ব্যবস্থা নিতে একমত হয়৷ একই ধরনের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও৷ তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই ঘোষণা শিক্ষার্থী বা বিদেশী নাগরিকদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়৷ বিদেশী নাগরিকদের অনেকেই এরই মধ্যে নিরাপদে নিজেদের দেশে পৌঁছাতে পেরেছেন৷
রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের পর বিভিন্ন সীমান্তে শরণার্থীদের যে চাপ তৈরি হয়েছিল, এখন তা অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে এসেছে৷ কিন্তু এখনো অনেক শহরে ইউক্রেনের নাগরিক ছাড়াও বিভিন্ন দেশ থেকে আসা শিক্ষার্থী আটকা পড়ে আছেন বলেও সংবাদ প্রকাশ করেছে বিভিন্ন গণমাধ্যম৷
সূত্র : ডয়চে ভেলে