ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৮ মার্চ, ২০২২ ২০:৪৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৫৪২ বার
ভোজ্যতেলের দামে অসংগতি পাওয়ায় এস আলম গ্রুপ, বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেড এবং টিকে গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালককে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য তলব করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
সোমবার (২৮ মার্চ) অধিদপ্তরের উপপরিচালক আফরোজা রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাদের ৩০ মার্চ সকাল ১০টায় জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সভাপক্ষে উপস্থিত হওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানার মইজ্জারটেকে এস আলমের কারখানা পরিদর্শনে গিয়ে পাওয়া অনিয়মের ব্যাখ্যা চেয়ে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, তাদের কারখানায় ড্রামের গায়ে পণ্যের নাম, মেয়াদ ও মূল্য উল্লেখ নেই। তেল রিফাইনারি ও বোতলজাতকরণ শাখা বন্ধ। ৫ লিটারের মোড়কে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৮৩৫ টাকা লেখা, যা সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি।
গত ১৩ মার্চ এস আলম গ্রুপের ওই কারখানা পরিদর্শনে এসব অনিয়ম পাওয়ার পর ২৭ মার্চ আবারও পরিদর্শন করা হয়। দ্বিতীয়বার দেখা যায়, সরবরাহ আদেশ বা এসওতে একক মূল্যের উল্লেখ নেই। নিয়মবহির্ভূতভাবে এসওগুলো কারখানায় আসার আগে হাতবদল হচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জে টিকে গ্রুপের কারখানায় পাওয়া অনিয়ম সম্পর্কে চিঠিতে বলা হয়, কোম্পানি ফেব্রুয়ারি মাসে ২৭ হাজার ৩৭১ টন পাম তেল বিপণন করলেও মার্চে এসে তা কমে ২১ হাজার ১১৯ টনে নামে। সরবরাহ কমে যাওয়ার ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য ৩০ মার্চ টিকে গ্রুপের প্রতিনিধিকে ডেকে পাঠানো হয়েছে।
ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেডের কারখানায় ১৪ হাজার ৩৮ টন তেল সরবরাহ করা হলেও মার্চ মাসে তা ৮২৬৩ টনে নেমে আসে। তাদের কাছেও সরবরাহের স্বল্পতার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।