ঢাকা, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

ইতিহাস বিকৃত করছে বিএনপি : তথ্যমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ২৮ মার্চ, ২০২২ ২২:২২ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৫৫৩ বার


ইতিহাস বিকৃত করছে বিএনপি : তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি নেতৃবৃন্দ ইতিহাসকে বিকৃত করছে। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পরেও যারা ইতিহাস বিকৃত করছে, তাদের বিচার হওয়া প্রয়োজন। আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকায় দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার ১৮ বছরে পদার্পণ উৎসবে শুভেচ্ছাদান  শেষে উপস্থিত সাংবাদিকরা চট্টগ্রামের কালুরঘাটে রোববার বিএনপির সমাবেশ করতে চাওয়া নিয়ে প্রশ্ন করলে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী পাল্টা প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘কালুরঘাটে কি জন্য সমাবেশ- ইতিহাস বিকৃত করার জন্য ?' 
‘পুলিশের ভাষ্যমতে বিএনপি ষোলশহরে সমাবেশ ও ফুল দেয়ার অনুমতি নিয়েছিলো, কালুরঘাটে সমাবেশের অনুমতি নেয়নি’ উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপির বেশিরভাগ সমাবেশেই গন্ডগোল হয়, গাড়িঘোড়া ভাংচুর করে আবার নিজেরাও মারামারি করে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান পুলিশের দায়িত্ব এবং বিনা অনুমতিতে সমাবেশ করা যায় না। তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রকৃতপক্ষে  সোয়াত জাহাজ থেকে অস্ত্র খালাস করতে যাচ্ছিল। মানুষের বাধায় ফেরত এসছিলো। পরবর্তীতে ২৭ মার্চ তাকে দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা পাঠ করানো হয়।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের কর্মকান্ডে তখনকার পাকিস্তানি কর্ণেল পরবর্তীতে যিনি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান হয়েছিলেন, তিনি চিঠি লিখেছিলেন যে, তার কর্মকান্ডে পাকিস্তানিরা খুশি এবং তার স্ত্রী-পুত্র নিয়ে কোনো চিন্তা না করতে অর্থাৎ প্রকৃতপক্ষে মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে জিয়াউর রহমান ছিলো পাকিস্তানিদের গুপ্তচর। ’
এসময় দ্রব্যমূল্য নিয়ে বামজোটের ডাকা আধাদিবস হরতাল নিয়ে প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ঢাকাসহ সারাদেশে বামজোটের হরতালে ঢাকা শহরে যানবাহনের প্রচন্ড জ্যাম। যারা হরতাল ডেকেছে তাদের লজ্জা হচ্ছে কি না জানি না, তাদের জন্য বরং আমারই লজ্জা লাগছে যে হরতালে জনগণ বিন্দুমাত্র সাড়া দেয়নি। আর জাফরুল্লাহ সাহেবও হরতাল ডেকেছিলেন, তবে হরতাল ডেকে লন্ডন চলে গেছেন।’
তিনি বলেন, ‘যুদ্ধ ও করোনার কারণে সারা পৃথিবীতে দ্রব্যমূল্য বেড়েছে এবং দেশের আমদানিনির্ভর কিছু পণ্যের মূল্য বেড়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর সরকার স্বল্প আয়ের মানুষের মধ্যে যেভাবে কম মূল্যে পণ্য বিক্রি করার ব্যবস্থা করেছেন, এক কোটি ফ্যামিলি কার্ড দিয়েছেন, তাতে জনগণের মধ্যে স্বস্তি নেমে এসেছে। যে সমস্ত অসাধু ব্যবসায়ীকে বিএনপি ভেতরে ভেতরে তাল দিয়েছিলো, তারাও প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগের কারণে তাদের হীন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে পারেনি।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কিন্তু এই প্রেক্ষাপটে বাম ভাইয়েরা যারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে, তাদেরকে আমি সম্মান জানাই তারা কেন এই হরতালটা ডেকে নিজেদেরকে হাস্যকর করলেন?।’ অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার প্রশ্নে তিনি বলেন, ভোগ্যপণ্য পর্যাপ্ত মজুদ আছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এখন সবচেয়ে বেশি চাল মজুদ আছে এবং সমস্ত ভোগ্যপণ্য রমজানের চাহিদার চেয়ে বেশি মজুদ আছে। কেউ যদি অহেতুক দ্রব্যমূল্য বাড়ানোর চেষ্টা করে সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। 
এর আগে দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার জন্য শুভেচ্ছা বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, দৈনিক আমাদের সময়  শুরু থেকেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে ১৭ বছর ধরে সমাজের চিত্র পরিস্ফুটনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে চলেছে। আগামীতেও পত্রিকাটি সমাজের বলিষ্ঠ দর্পণ হিসেবেই কাজ করবে, এটিই আমার প্রত্যাশা।
ইউনিক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহা: নূর আলী, দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার প্রকাশক এস. এম. বকস কল্লোল, সম্পাদক  মোহাম্মদ গোলাম সারওয়ার, সাংবাদিক ও কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দকে সাথে নিয়ে এসময় পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটেন হাছান মাহমুদ।


   আরও সংবাদ