ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ৩১ মার্চ, ২০২২ ১১:৩১ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৫২০ বার
ক্রেমলিন বুধবার ইঙ্গিত দিয়েছে যে রাশিয়ার সমস্ত জ্বালানি এবং পণ্য রপ্তানির দাম রুবল হতে পারে, যা ইউক্রেনের আক্রমণের জন্য পশ্চিমের নিষেধাজ্ঞার ব্যথা অনুভব করার জন্য রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের প্রচেষ্টাকে কঠোর করে।
রাশিয়ার সকল বৈদেশিক লেনদেন রুবলে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছে ক্রেমলিন। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর পশ্চিমা বিশ্বের নিষেধাজ্ঞার কারণে সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে পড়া রাশিয়া পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে এই পদক্ষেপ নিয়েছে। রাশিয়ার পার্লামেন্ট স্পিকার ভ্যাচেস্লাভ ভলোদিনের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
গত ২৩ মার্চ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার পাল্টা আঘাত হিসেবে আদেশ দেন, যেসব দেশ রাশিয়ার বন্ধু নয় তাঁদের সঙ্গে গ্যাস বিক্রির ক্ষেত্রে রুবলে মূল্য পরিশোধ করতে হবে।
এই ঘোষণার পর রাশিয়ার গ্যাসের সর্ববৃহৎ ক্রেতা জার্মানি বুধবার দেশটিতে একটি ‘অগ্রিম সতর্কতা’ ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে। দেশটি জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্তের ফলে জার্মানিতে গ্যাসের অভাব চূড়ান্ত মাত্রায় পৌঁছাতে পারে। জার্মানি গত বছর রাশিয়া থেকে তাঁর গ্যাসের চাহিদার ৫৫ শতাংশ আমদানি করেছে।
পশ্চিমের নিষেধাজ্ঞার জবাবে রাশিয়া আরও কঠোর প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে—ক্রেমলিনের এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে এমনই ইঙ্গিত দেওয়া হলো।
রাশিয়ার পার্লামেন্ট স্পিকার ভ্যাচেস্লাভ ভলোদিনের এর মন্তব্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ‘এটি এমন একটি ধারণা যা নিয়ে অবশ্যই কাজ করা উচিত।’
পেসকভ বলেছেন, ‘বৈশ্বিক রিজার্ভ কারেন্সি হিসেবে মার্কিন ডলারের ভূমিকা ইতিমধ্যেই আস্থা হারিয়েছে এবং রুবলে লেনদেন করার সিদ্ধান্ত আমাদের ও আমাদের অংশীদারদের স্বার্থে রাশিয়ার রপ্তানি বাজারের মূল্য নির্ধারণের জন্য সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে।’
এদিকে রাশিয়ার গ্যাস রফতানি ৪০ শতাংশ ক্রয় করে ইউরোপের দেশগুলো। তারা বলছে, রাশিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত গ্যাস জায়ান্ট গ্যাজপ্রম আগের চুক্তি পুনরুদ্ধার করার অধিকারী নয়।