ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১ এপ্রিল, ২০২২ ০৯:৪৫ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৫৪১ বার
ভারতের নদিয়ার চাকদহে সাত বছরের মেয়েকে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা করেছেন পুলিশকর্মী বাবা।
দাম্পত্য কলহের জেরে শুক্রবার চাকদহের বিষ্ণুপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, দুপুর ১টার দিকে ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করেন ওই পুলিশকর্মী। তা দেখে সন্দেহ হতেই ঘরে ছুটে এসে দেওর আর ছোট ভাইজির ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান তার ভাবী। এর পরেই খবর দেয়া হয় পুলিশকে।
মৃত পুলিশকর্মীর নাম জয়ন্ত সর্দার। তার মেয়ের নাম দিয়া। পরিবারের দাবি, স্ত্রী মৌসুমি সর্দারের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে অশান্তির কারণেই মেয়েকে খুন করে আত্মহত্যা করেছেন জয়ন্ত।
ফেসবুকে জয়ন্ত যে ভিডিও পোস্ট করেছিলেন, তার বিবরণীতে লেখা ছিল, ‘সরি মা।’ ভিডিয়োতে আত্মহত্যার ইঙ্গিত পেয়েই দেবরের বাড়িতে ছুটে গিয়েছিলেন তার ভাবী মামণি সর্দার। পাশের বাড়িতেই থাকেন তিনি। জয়ন্ত আর দিয়াকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে মামণিই চিৎকার চেঁচামেচি করে পরিবারের বাকি সদস্যদের ডেকে আনেন। তার পরেই খবর দেয়া হয় পুলিশে।
জয়ন্তের বয়স ৩৭। বেলঘরিয়ায় জিআরপি-র এএসআই পদে কর্মরত। তার পরিবারের দাবি, মৌসুমির সন্দেহবাতিক মনোভাবের কারণে পরিবারে অশান্তি লেগেই থাকত। এ নিয়ে মানসিক অবসাদেও ভুগছিলেন জয়ন্ত। অশান্তির জেরে স্বামীর সাথেও থাকতেন না মৌসুমি। এ সবের কারণে জয়ন্ত আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন।
মামণির অভিযোগ, ‘মৌসুমি মনে করত, জয়ন্ত পরকীয়ায় জড়িয়ে। অনেকবার স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যে বদনাম দিয়েছে।’
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে চাকদহ থানার পুলিশ এসে জয়ন্ত ও তার মেয়ের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
পুলিশের বক্তব্য, পরিবার পক্ষ থেকে এখনো কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়নি। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে প্রকাশ্যে আসা ভিডিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সূত্র : আনন্দবাজার