ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল, ২০২২ ১৭:৫৫ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৫৮৭ বার
লতা
সমাদ্দারের ইভটিজিংয়ের ঘটনার তদন্ত রিপোর্টটি এখন সংবাদে কোথাও নেই। প্রধান সংবাদমাধ্যমে বহু খোঁজাখুঁজি করে ভেতরের পাতায়ও এর খবর পাওয়া গেল না। অখ্যাত কয়েকটি মিডিয়ায় এসেছে। তারা সম্ভবত এ খবরটির বাজারমূল্য বিবেচনা করে অনলাইনে আপ করেছে। এ ধরনের ঘটনায় বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর প্রচুর আগ্রহ আছে। তারা প্রকৃত ঘটনা জানতে চায়। নামীদামি মিডিয়া ‘ব্লাক আউট’ নীতি গ্রহণ করলে অখ্যাত মিডিয়া এ খবর দিয়ে নিজেদের হিট কিছু বাড়িয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এমন বহু ঘটনা বাংলাদেশে ঘটেছে, প্রধান ধারার সংবাদমাধ্যম যেগুলো না দেখার ভান করেছে। তথ্যকে গায়েব করে দেয়ার এমন নীতিহীন কাজ মূলত কোনো কাজে আসে না। আমাদের দেশের প্রধান ধারার সংবাদমাধ্যম বারবারই বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে যাচ্ছে কোনো এক অজ্ঞাত কারণে। সাংবাদিকতা করার বদলে অ্যাক্টিভিজম করে পরে তারা মুখ লুকিয়ে নেয়।
খবরে জানা যাচ্ছে, তদন্ত শেষে ডিএমপি কমিশনার বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। পুলিশ কনস্টেবল ও লতা সমাদ্দারকে পৃথকভাবে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাতে সমাদ্দার জানান, তার সাথে কনস্টেবলের বাগি¦তণ্ডা হয়। আর সেটি হয়েছিল তার পায়ের সাথে মোটরসাইকেল লাগার কারণে। অন্য দিকে কনস্টেবল স্বীকার করেন, তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়েছিলেন তার সাথে স্ত্রী থাকার। তদন্ত রিপোর্টে এমন একটি প্রতিবেদন কেউ আশা করেনি। কারণ চিলে কান নিয়ে গেছে বলে যে সঙ্ঘবদ্ধ চিৎকার চেঁচামেচি চার দিক থেকে করা হয়েছিল তা একেবারে মাঠে মারা গেছে। শুধু সমাদ্দারের একক অভিযোগের ভিত্তিতে বিবিসিও বিস্তারিত কয়েকটি প্রতিবেদন রচনা করে। সংবাদমূল্যের বিবেচনায় এমন নিউজ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমটির কেবল বাংলা বিভাগেই সম্ভব হচ্ছে।