ঢাকা, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

শেখ হাসিনার হাত ধরে শ্রমিকের মজুরি ৬ থকে ৮ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে : তথ্যমন্ত্রী  

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ১ মে, ২০২২ ১৭:৩৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৪৭৯ বার


শেখ হাসিনার হাত ধরে শ্রমিকের মজুরি ৬ থকে ৮ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে : তথ্যমন্ত্রী  

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে  এদেশে শ্রমিকের মজুরি ৬ থকে ৮ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

তিনি বলেন, ‘২০০৯ সালে আমরা সরকার গঠন করার আগে গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ছিল এক হাজার ৬৫০ টাকা, এখন সেটি আট হাজার টাকায় উন্নীত হয়েছে। পাটকল শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ছিল মাত্র ৯৬০ টাকা, এখন তা উন্নীত হয়েছে আট হাজার ৩০০ টাকায়। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে এভাবে বিভিন্ন সেক্টরে শ্রমিকদের মজুরি ছয় থেকে আট গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। একইসাথে শ্রমিকদের চিকিৎসা, যাতায়াত, বাড়িভাড়া, গার্মেন্টস শ্রমিকদের দুপুরের টিফিনের ব্যবস্থা করাসহ বিভিন্ন ভাতা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমাদের সরকার নিশ্চিত করেছে।’

রোববার দুপুরে মন্ত্রী তার চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজী পুকুর পাড়স্থ বাসভবনে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন। 

এ সময় আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুল মোনাফ সিকদার এবং সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার উপস্থিত ছিলেন। 

তথ্যমন্ত্রী  বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে যখন আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়, তখন তিনি ভারত থেকে যাতে দেশে আসতে না পারেন তার জন্য প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছিলেন জিয়াউর রহমান। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা ঘোষণা করেছিলেন, যেকোন মূল্যে বাংলাদেশে আসবেন। তার এই দৃঢ়চেতা মনোভাব, একই সাথে আন্তর্জাতিক নানা চাপের কারণে জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু কন্যাকে দেশে আসতে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আজ পহেলা মে, শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন। বাংলাদেশে শ্রমিকদের অধিকার দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শ্রমজীবী মানুষের জীবনমান উন্নত হয়েছে, ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নানা পদক্ষেপের কারণে শ্রমজীবী মানুষের আয়-উন্নতি বৃদ্ধি সম্ভবপর হয়েছে। 

তিনি বলেন, আশির দশকে স্লোগান হতো শ্রমিকের মজুরি হতে হবে সাড়ে তিন কেজি চালের মূল্যের সমান। অথচ এখন শ্রমিকের মজুরি ১৫ কেজি চালের মূল্যের সমান উন্নীত হয়েছে। চট্টগ্রাম এলাকায় ৭০০ থেকে ৮০০ টাকার নিচে কোনো শ্রমিক পাওয়া যায় না, ঢাকায়ও তাই, উত্তরবঙ্গে কিছুটা কম। একজন রিকশাচালক-ভ্যানচালক আগে যদি একদিন বাহন না চালাতে পারতেন তার চুলাতে আগুন জ্বালতো না। এখন একজন রিকশাচালক যদি মনে করেন আজকে বা আগামীকাল বাহন চালাবেন না তাতে তাদের কোনো অসুবিধা হয় না। 

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘দশ টাকা কেজিতে চাল, বিনামূল্যে চালসহ সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের কোটি কোটি মানুষকে নানাভাবে সহায়তা দেয়া হয়। এগুলো আগে কখনো ছিল না। করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সমস্ত পৃথিবীতে জীবনযাত্রায় নাভিশ্বাস উঠেছে। ভোজ্য তেলের দাম ইউরোপে ৫০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। খাদ্য পণ্যের দাম ইউরোপে ৪০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। ইউকেতে খাদ্যপণ্যের দাম ২৫ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। সেখানে সুপার মার্কেটে নানা ধরণের খাদ্যপণ্যের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। আমাদের দেশে সেটি হয়নি। অনেকে বক্তৃতা করেন, কিন্তু বিশ্ব প্রেক্ষাপটের দিকে তাকান না। বিশ্ব সঙ্কটের মধ্যেও আমাদের দেশে জীবনযাত্রা নির্বিঘ্ন আছে।’ 

ক্ষমতায় আসলে শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে বিএনপি, মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের তথ্যমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেবরা যখন ক্ষমতায় ছিলেন, শ্রমিকরা তখন অধিকারের দাবিতে আন্দোলন করেছেন, তখন তাদেরকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আদমজীর শ্রমিকরা যখন আন্দোলন করেছেন তখন কি করেছে আপনারা জানেন। কৃষি শ্রমিকরা যখন সার ও কৃষি উপকরণের জন্য আন্দোলন করেছে তখন তাদেরকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এটিই হচ্ছে বঙ্গবন্ধু কন্যার সাথে অন্যদের পার্থক্য।

শেখ হাসিনাকে দেশে আসার জন্য জিয়াউর রহমান সহযোগিতা করেছিলেন বিএনপি নেতা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুক’র এমন বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, আসলে মিথ্যাচার করতে করতে ওরা সব বিষয়ে মিথ্যাচার করে। তারা যে ইতিহাস বিকৃতি করে সেটার আরেকটি প্রমাণ হচ্ছে এটি। 

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা যখন দেশে আসেন তখন বিমানবন্দরে যাতে লোকসমাগম না হয় সেজন্যও নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়েছিল। দেশে আসার পর তিনি ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে একটি মিলাদ পড়াতে চেয়েছিলেন। 

জিয়াউর রহমান সেই মিলাদ পড়ানোর অনুমতি দেন নাই। পরে ৩২ নম্বরের বাড়ির সামনের রাস্তায় শেখ হাসিনাকে বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টে শহীদদের মাগফেরাত কামনা করে মিলাদ পড়াতে হয়েছে। এই হচ্ছে জিয়াউর রহমান এবং বিএনপি, আর টুকু সাহেব কি বলেন? 

সবাইকে আগাম ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন,  সাম্প্রতিক সময়ের অন্যান্য যেকোনো বছরের তুলনায় এ বছর ঈদযাত্রা অনেক নির্বিঘ্ন হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে যাবতীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সে কারণেই এবছর ঈদযাত্রাটা অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেকটা নির্বিঘ্ন হচ্ছে। এ বছর মহাসড়ক, রেল যোগাযোগ সব ক্ষেত্রেই অন্যান্য বছরের তুলনায় ব্যবস্থাপনা অনেক ভালো। 

সূত্র : বাসস


   আরও সংবাদ