ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

বেসরকারি কলেজে পদোন্নতি কমিটির সভাপতিও হবেন ডিসি

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ১২ মে, ২০২২ ০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৫৪৮ বার


বেসরকারি কলেজে পদোন্নতি কমিটির সভাপতিও হবেন ডিসি

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১ জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নীতিমালার ১১.৬ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রভাষক থেকে জ্যেষ্ঠ প্রভাষক/সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতির বিধান রয়েছে। বেসরকারি কলেজে কর্মরত প্রভাষক থেকে জ্যেষ্ঠ প্রভাষক/সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি প্রদানের জন্য গঠিত কমিটিতে জেলা প্রশাসককে (ডিসি) সভাপতি এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (আইসিটি ও শিক্ষা)-কে সদস্য করে কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। দুই এক দিনের মধ্যেই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত অনুমোদন দেয়া হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সূত্র জানায়, ডিউটিস অব চার্টার অনুযায়ী জেলা প্রশাসক জেলার বিভিন্ন দফতর সম্পর্কিত ১২০টি কমিটির সভাপতি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই প্রস্তাব অনুমোদন হলে কমিটির সংখ্যা আরো একটি যোগ হবে। জেলায় অবস্থিত প্রতিটি মন্ত্রণালয় বা বিভাগের অফিস জেলা প্রশাসনের অংশ এবং জেলা প্রশাসকের সাধারণ নিয়ন্ত্রণে কাজ করেন। জেলাপর্যায়ের এনজিও বিষয়ক সমন্বয় ও নিয়ন্ত্রণের কাজও করেন তারা। আইনশৃঙ্খলা, অবকাঠামো উন্নয়ন, ব্যবসা-বাণিজ্য, চিকিৎসা, বিনোদন, শিক্ষা, বিজ্ঞান, কর্মসংস্থান, নারী ও শিশু, ধর্ম, পাঠাগার, দুর্যোগ ও ত্রাণ, কৃষি, প্রাণী, সার ও বীজ এসবের তত্ত্বাবধানও তাদের আওতায় পড়ে।

জেলা প্রশাসকরা হচ্ছেন বাংলাদেশের জেলার প্রধান প্রশাসনিক ও ভূমি রাজস্ব কর্মকর্তা। তারা একাধারে জেলা প্রশাসক, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা কালেক্টর ও ডেপুটি কমিশনার। একই সাথে জেলার আইনশৃঙ্খলা, ভূমি প্রশাসন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, সমন্বয় এবং সাধারণ ও স্থানীয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন তারা। এতসব কাজে নিজেদের সম্পৃক্ততা রাখতে গিয়ে অনেক কাজ সময়মতো করতে পারেন না তারা। অনেক সময় বিভিন্ন কাজ এড়িয়েও যান এমন অভিযোগও রয়েছে তাদের ব্যাপারে।

সূত্র জানায়, বর্তমানে সারা দেশে এমপিওভুক্ত ডিগ্রি কলেজ আছে এক হাজার ৩৬টি। স্কুল অ্যান্ড কলেজ আছে এক হাজার ৪৯১টি এবং উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ আছে এক হাজার ২৮টি। নন-এমপিওভুক্ত কলেজ আছে দুই হাজারের মতো। এসব কলেজে প্রায় দেড় লাখ কলেজ শিক্ষক রয়েছেন। পদোন্নতি পেতে প্রভাষকদের আট বছর চাকরিকাল পার হতে হয়। যারা সহকারী অধ্যাপক হতে পারেন না, তারা চাকরির ১০ বছর পূর্তিতে উচ্চতর স্কেল প্রাপ্য হন। এতে তারা জাতীয় বেতন স্কেলের নবম গ্রেড থেকে অষ্টম গ্রেডে উন্নীত হন। এ ছাড়া পদোন্নতিবঞ্চিতদের চাকরির ১৬ বছর পূর্তিতে আরেকটি গ্রেড স্কেলে উন্নীত হওয়ার বিধান রয়েছে।
গত বছরের ২৮ মার্চ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১ জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নতুন নীতিমালায় বলা হয়েছে, উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়, স্কুল অ্যান্ড কলেজ বা উচ্চমাধ্যমিক কলেজে এমপিওভুক্ত প্রভাষকেরা এমপিওভুক্তির তারিখ থেকে পরবর্তী আট বছর সন্তোষজনকভাবে চাকরি করলে প্রভাষক বা জ্যেষ্ঠ প্রভাষকের মোট পদের অর্ধেক (৫০ শতাংশ) ‘জ্যেষ্ঠ প্রভাষক’ পদে পদোন্নতি পাবেন। অন্য শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির ১০ বছর পূর্তিতে বেতনস্কেলে এক ধাপ উন্নতি (গ্রেড ৯ থেকে ৮) হবে এবং পরবর্তী ছয় বছরের মধ্যে, অর্থাৎ এমপিওভুক্তির ১৬ বছর পূর্তিতে তারাও ‘জ্যেষ্ঠ প্রভাষক’ পদে পদোন্নতি পাবেন।

নীতিমালার ১১.৬ ধারায় বলা হয়েছে, একটি কমিটি করা হবে। সেই কমিটি ১০০ নম্বরের মূল্যায়ন করে তবেই তারা পদোন্নতি দেবেন। সেই কমিটি গঠনের রূপরেখা তৈরি করতেই এক বছরের অধিক সময় নিলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

নতুন নীতিমালায় উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত সহকারী অধ্যাপকের পদ বাতিল করা হলেও আগে যারা এই পদ পেয়েছেন, তা বহাল থাকবে। এ ছাড়া ডিগ্রি কলেজের ক্ষেত্রেও সহকারী অধ্যাপক পদ থাকবে। ডিগ্রিতেও প্রভাষক পদে আট বছর পূর্তিতে মোট পদের অর্ধেক প্রভাষক পদোন্নতি পেয়ে সহকারী অধ্যাপক হবেন। অন্যদিকে নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়েও শিক্ষকরা বিএড বা সমমানের ডিগ্রির জন্য বেতনস্কেলের ১০তম গ্রেড প্রাপ্ত হবেন।

নতুন নীতিমালায় বলা হয়েছে, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সুপারিশে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকদের কোনো প্রতিষ্ঠানে পদ শূন্য থাকলে সমপদে বা সমস্কেলে প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় নীতিমালা করে আদেশ জারি করতে পারবে।

নীতিমালায় শিক্ষক-কর্মচারীদের মূল বেতন বা উৎসব ভাতা বা বৈশাখী ভাতার নির্ধারিত অংশ সরকারের সর্বশেষ বেতন স্কেলের সাথে বা সরকারের নির্দেশনার সাথে মিল রেখে ঠিক করতে বলা হয়েছে।


   আরও সংবাদ