ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৫ মে, ২০২২ ২১:১৩ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৪৩৫ বার
ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট সাউলি নিনিস্টো রোববার ঘোষণা করেছেন যে তার দেশ ন্যাটো সামরিক জোটের সদস্যপদের জন্য আবেদন করবে।
রাশিয়ার প্রতিবেশী ফিনল্যান্ড দীর্ঘদিনের অনুসৃত নিরপেক্ষ নীতি পরিত্যাগ করে এই সিদ্ধান্ত নিল রাশিয়া ইউক্রেনে অভিযান চালানোর পর।
রাশিয়ার সাথে ফিনল্যান্ডের প্রায় তেরোশো কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। এর আগে মস্কো হুঁশিয়ারি দিয়েছিল যে, ফিনল্যান্ড যদি ন্যাটোতে যোগ দেয় সেটা হবে এক বিরাট ভুল এবং এটি দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষতি করবে।
ফিনল্যান্ডের মতো সুইডেনও ন্যাটো জোটে যোগ দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কারণে সেদেশেও ন্যাটো জোটে যোগ দেয়ার পক্ষে জনসমর্থন বাড়ছে।
গত বৃহস্পতিবার ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট নিনিস্টো এবং প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন দু’জনেই জানিয়েছিলেন, তারা ন্যাটো জোটে যোগ দেয়ার পক্ষে।
আজ হেলসিংকির প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে তিনি রিপোর্টারদের বলেন, ‘আজকে আমি এবং সরকারের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক কমিটি মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে ফিনল্যান্ড ন্যাটোর সদস্য পদের জন্য আবেদন করবে।’
এর আগে গতকাল শনিবার প্রেসিডেন্ট নিনিস্টো ফিনল্যান্ড যে ন্যাটো জোটে যোগ দেয়ার পরিকল্পনা করছে সেকথা জানাতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ফোন করেন। প্রেসিডেন্ট পুতিন তখন বলেছিলেন, এ রকম পদক্ষেপ রুশ-ফিনিশ সম্পর্কের ক্ষতি করবে।
তবে প্রেসিডেন্ট নিনিস্টো আজ হেলসিংকিতে বলেন, ন্যাটো জোটে যোগ দিলেই ফিনল্যান্ডের ভৌগোলিক অবস্থানের তো আর পরিবর্তন হবে না, কারণ তখনো রাশিয়ার সাথে ফিনল্যান্ডের দীর্ঘ স্থল এবং সমুদ্র সীমান্ত থাকবে।
তিনি আরো বলেন, তিনি আশা করেন নরওয়ে যেভাবে ন্যাটোতে যোগ দেয়ার পরও রাশিয়ার সাথে সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে পেরেছে, ফিনল্যান্ডের বেলাতেও তাই ঘটবে।
উল্লেখ্য, নরওয়ের সাথেও রাশিয়ার সীমান্ত আছে।
ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন জানিয়েছেন, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই ন্যাটো জোটে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত ফিনিশ পার্লামেন্ট অনুমোদন করবে বলে তিনি আশা করেন।
‘আমাদের এখনো পার্লামেন্টারি প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যেতে হবে, তবে আমার বিশ্বাস পার্লামেন্ট এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত দৃঢ় প্রতিজ্ঞা এবং দায়িত্বশীলতার সঙ্গে আলোচনা করবে।’
এদিকে জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তার দেশ সুইডেন এবং ফিনল্যান্ডের ন্যাটো সদস্যপদের আবেদন দ্রুত অনুমোদনে সমর্থন দিতে প্রস্তুত।
ন্যাটো সদস্য হতে কোনো দেশ আবেদন করলে সাধারণত এক বছর পর্যন্ত সময় লাগে। তবে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, এখন যে রকম গতিতে ঘটনাপ্রবাহ আগাচ্ছে, তাতে এর গতি ধীর করা উচিত হবে না।
সূত্র : বিবিসি