ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৫ মে, ২০২২ ২২:৫৪ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৪৪৯ বার
তরুণ সমাজ আগামীর দৃশ্যপট বদলে দিয়ে এ উপমহাদেশের জন্য সোনালি ভবিষ্যৎ বয়ে আনবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীতে ভারতীয় হাইকমিশনে ‘বাংলাদেশ ইয়ুথ ডেলিগেশন ২০২২’-এর প্রক্রিয়া উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামীর সভাপতিত্বে উপহাইকমিশনার বিনয় জর্জ এবং আগের বছরগুলোতে ভারত সফরকারী তরুণদলের আমন্ত্রিত সদস্য ও মিশনের কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক রক্তের অক্ষরে লেখা উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে এদেশের এক কোটি মানুষকে ভারত আশ্রয় দিয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করে ভারতীয় সেনারা প্রাণ দিয়েছিল, যা কখনো ভুলবার নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে চলেছেন। তরুণদলের সদস্য হয়ে ভারত ভ্রমণে অনেক কিছু জানার ও শেখার আছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ইতিহাসের দিকে তাকিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, কৃষি অর্থনীতির যুগে সমগ্র ভারতবর্ষে আমরা ধনী ছিলাম। ইউরোপে বছরে একটি বা দু'টি ফসল হতো, আমাদের হতো তিনটি। আমরা ধনী ছিলাম বিধায় এখানে পর্তুগীজ, ওলন্দাজ, ইংরেজ, ফরাসীরা এসেছে। ধনীর বাড়িতেই ডাকাত পড়ে, যদিও তাদের সবাইকে আমি ডাকাত বলছি না। এরপর অর্থনীতি শিল্পনির্ভর হয়ে যাওয়ার পর দৃশ্যপটটা বদলে যায়। তখন আমাদের কাঁচামাল ব্যবহার করে ইউরোপীয়রা শিল্প গড়ে ধনী হয়। আমাদের তরুণ সমাজ এই দৃশ্যপট বদলে দিয়ে আমাদের সোনালি যুগ নিয়ে আসবে, সেই প্রত্যাশা করি।
ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, করোনার কারণে দু'বছর বন্ধ থাকার পর 'বাংলাদেশ ইয়ুথ ডেলিগেশন ২০২২' এর প্রক্রিয়া উদ্বোধন করতে পেরে তারা অত্যন্ত আনন্দিত। কারণ এ প্রক্রিয়া দু'দেশের মৈত্রীবন্ধনকে আরো গাঢ় করবে।
ভারতীয় হাইকমিশনের ওয়েবসাইটে গিয়ে কিভাবে এই ডেলিগেশনের সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে তা সবিস্তারে তুলে ধরার পাশাপাশি ভারত সফরকারী বাংলাদেশ ইয়ুথ ডেলিগেশনের সাবেক সদস্যরা অনুষ্ঠানে নৃত্যগীতি পরিবেশন করেন।
সূত্র : বাসস