আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ মে, ২০২২ ১৪:০১ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৪০৮ বার
বিশ্বজুড়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে মাংকিপক্স নামের বিরল রোগ, আতঙ্কিত মানুষ। কীভাবে এর হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব কিংবা কী পদ্ধতিতে এর মোকাবেলা করা যায়, তা নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
শুক্রবারের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বসেরা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
অনেকে দাবি করে সমকামী পরুষদের থেকেই মাংকিপক্স দ্রুত হারে ছড়িয়ে পড়ছে। তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এই বিরল রোগের সঙ্গে সমকামীদের কোনো সম্পর্ক এখনও পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন। খবর ইনসাইডারের
জানা গেছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বৈঠকে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ার কারণ খুঁজতে বিস্তারিত আলোচনা হবে। এরই মধ্যে মাংকিপক্সের হাত থেকে নিস্তার পেতে কোন ভ্যাকসিন কার্যকরী হবে তা নিয়ে নানাবিধ পরীক্ষা-নিরিক্ষা চালানো হচ্ছে।
চলতি মে মাস থেকেই এই ভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যেই ১১টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে রোগটি। যেসব দেশে ইতোমধ্যে মাংকিপক্স শনাক্ত হয়েছে সেগুলো হলো- ইতালি, সুইডেন, স্পেন, পর্তুগাল, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্য। ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে প্রথম এ রোগ শনাক্ত হয় যুক্তরাজ্যে।
এছাড়া সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, সন্দেহভাজন আরও ৫০ জনের মাংকিপক্স শনাক্তের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে সন্দেহভাজন এসব মাংকিপক্স রোগী কোন কোন দেশের তা জানানো হয়নি।
১৮ মে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস বিভাগের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা প্রথম একজন ব্যক্তির শরীরে মাংকিপক্সের সন্ধান পান। তিনি সম্প্রতি কানাডা থেকে ফিরেছেন। শুধু এই একটি ঘটনা নয়, ইউ এস সেন্টার ফর ডিসিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন আরও মাংকিপক্সের ঘটনা সামনে আসার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছে না। যারা মাংকিপক্সে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছেন তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা হচ্ছে। তবে এখনই সাধারণ মানুষের আতঙ্কিত হওয়ার কতটা কারণ রয়েছে, তা নিয়েই কাটাছেঁড়া করছে বিশ্বের চিকিৎসকেরা।
মাংকিপক্স আদতে কী? কতটা ভয়াবহ এই ভাইরাস? মাংকিপক্স ভাইরাস বায়ুবাহিত। এই ভাইরাসের জেরে যে রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ, তাকেই মাংকিপক্স বলা হচ্ছে। এই রোগ হলে জ্বরে ভোগেন অনেকে। দেহে তৈরি হয় বড় বড় ফোস্কা। বর্তমানে টিকাকরণের জন্য স্মলপক্স অনেকটাই সেরে উঠেছে। এখনও পশ্চিম আফ্রিকাসহ একাধিক দেশে মাংকিপক্সের দেখা পাওয়া যায়।
১৯৫৮ সালে প্রথম মাংকিপক্স পাওয়া গিয়েছিল। মূলত ইঁদুর থেকেই এই ভাইরাস ছড়ায় বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়। তবে মূল চিন্তার বিষয় একজন আক্রান্তের থেকে মাংকিপক্স অন্য ব্যক্তির দেহে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই রোগ থেকে স্মলপক্স অনেকটাই আলাদা। মাংকিপক্সে আক্রান্তদের দেহে বড়বড় ফোস্কা পড়ে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যাপক হারে ছড়িয়ে না পড়লে এই ভাইরাস নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই।
ইংল্যান্ডের পাবলিক হেলথ বিভাগের কর্মকর্তা ড. নিক ফিন বলেছেন, এটা বুঝতে হবে যে মাংকিপক্সের ভাইরাস খুব সহজে মানুষের মধ্যে ছড়াতে পারে না।
সে কারণে এখন পর্যন্ত মাংকিপক্স নিয়ে শঙ্কার কিছু নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সূত্র: বিবিসি