ঢাকা, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

ডাক্তারদের ‘ফাঁকিবাজি’ রুখতে হাজিরা খাতায় দিনে তিনবার সই করার নির্দেশ!

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ২৬ মে, ২০২২ ০৮:২৯ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৪৫৯ বার


ডাক্তারদের ‘ফাঁকিবাজি’ রুখতে হাজিরা খাতায় দিনে তিনবার সই করার নির্দেশ!

সরকারি হাসপাতালে ‘ফাঁকিবাজি’ ধরতে এবার নতুন নিয়ম আনতে চলেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী- সবাইকেই এবার দিনে তিনবার করে হাজিরা খাতায় সই করতে হবে। হাজিরা খাতা রাখা থাকবে সুপার ও প্রিন্সিপালের ঘরে। অর্থাৎ প্রিন্সিপাল ও মেডিক্যাল সুপারকে সাক্ষী রেখে প্রতিটি স্বাক্ষর হবে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে এমনটাই জানা গেছে।


বৃহস্পতিবার রাজ্য বিধানসভায় স্বাস্থ্য সংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠক ছিল। কমিটির চেয়ারম্যান ডা. নির্মল মাজি ছাড়াও সেখানে স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম, রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডা. সিদ্ধার্থ নিয়োগী, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা ডা. দেবাশিস ভট্টাচার্য উপস্থিত ছিলেন। বিধানসভায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল মালদহ মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল, এমএসভিপি ও ছয় অ্যাসিস্টান্ট সুপারকে। এই আটজনের বিরুদ্ধে হাসপাতালে সময়মতো হাজির না থাকার অভিযোগ ছিল। জানা গিয়েছে, প্রত্যেকেই আলাদা করে নিজেদের ভুল স্বীকার করে ক্ষমাপ্রার্থনা করেছে। তাই আপাতত সতর্ক করেই ছেড়ে দেয়া হয়েছে তাদের।

হাজিরা খাতায় তিনবার সই করার বিষয়টি বলবৎ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিধানসভা সূত্রে এমনটাই জানা গেছে। জেলার সরকারি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তার সাহেবদের হাজিরা নিয়ে প্রচুর অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি মালদহ মেডিক্যাল কলেজে দু’দফায় আচমকা পরিদর্শনে যান স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান নির্মল মাজি। দু’দিনই ডাক্তারবাবুদের হাজিরার করুণ চিত্র সামনে এসেছে। এই চিত্র জেলার প্রায় সব হাসপাতালেই কমবেশি রয়েছে। হাজিরা খাতা থাকলেও তাতে নজরদারির কোনো বালাই ছিল না। ফলে আউটডোর ছাড়া অন্য কোনো দিন ডাক্তার সাহেবদের হাসপাতালে দেখা যেত না। সম্প্রতি কয়েকজন চিকিৎসক কর্তা হাসপাতালে ঘুরে ফাঁকিবাজির এই নমুনা প্রত্যক্ষ করেছেন।


 
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, স্বাস্থ্যসচিব নিজে যেমন টিম নিয়ে জেলার হাসপাতালগুলো পরদর্শন করেন, তেমনই আচমকা পরিদর্শনও চলবে। বেসরকারি নার্সিংহোমগুলির বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডকে মান্যতা না দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। এই ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী নিজে বহুবার সতর্ক করেছেন। এই বিষয় নিয়েও জেলার হাসপাতালগুলোকে সতর্ক করা হয়েছে।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন


   আরও সংবাদ