আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ মে, ২০২২ ০৯:১১ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৩২৪ বার
ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোর জন্য 'বাস্তব সুবিধা' দিতে কোয়াড নেতারা সামুদ্রিক নজরদারি পরিকল্পনা করছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, চীনকে থামাতে এটি এই গ্রুপের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ।
জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে গঠিত অনানুষ্ঠানিক জোট কোয়াড বলছে, প্যাসিফিক আইল্যান্ডস এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও ভারত মহাসাগরের দেশগুলোকে তাদের পানিসীমায় অবৈধ মাছধরা এবং অন্যান্য বেআইনি কার্যক্রম প্রতিরোধে গঠন করা হচ্ছে 'ইন্দো-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ ফর মেরিটাইম ডোমেইন অ্যাওয়ারনেস (আইপিএমডিএ)।' চীনের কথা কোয়াড উল্লেখ না করলেও সংশ্লিষ্ট দেশগুলো প্রায়ই চীনা নৌকার তাদের বিশেষ এলাকাভুক্ত এলাকা থেকে চীনা জেলেদের মাছধরা নিয়ে অভিযোগ করে আসছিল। তাছাড়া দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত পানিসীমায় চীনা মেরিটাইম মিলিশিয়ার উপস্থিতির বিরুদ্ধেও অনেক দেশ সরব।
এই উদ্যোগের বিস্তারিত বিবরণ কোয়াড দেয়নি। তবে পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা ব্রিটেনের ফিন্যান্সিয়াল টাইমস পত্রিকাকে বলেছেন যে তারা ইন্দো-প্যাসিফিক দেশগুলোকে বিনামূল্যে সামুদ্রিক গোয়েন্দা তথ্য দিতে বাণিজ্যিক স্যাটেলাইট-ট্র্যাকিং পরিষেবা দিতে তহবিলের সংস্থান করবে।
রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ও রাডার সিগন্যাল দেখে সংশ্লিষ্ট দেশগুলো অবৈধ নৌকার উপস্থিতি শনাক্ত করতে পারবে। এই গোয়েন্দা তথ্য আঞ্চলিক নজরদারি কেন্দ্রগুলোতে পাঠানো হবে। ভারত, সিঙ্গাপুর, ভানুতুয়া ও সলোমন আইল্যান্ডসে হবে এসব কেন্দ্র।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের সাউথ-ইস্ট এশিয়া ফেলো গ্রেগ পলিং এই আইপিএমডিএকে 'উচ্চাভিলাষী' হিসেবে অভিহিত করে বলেছেন, এটা এটি ভারত মহাসাগর, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও প্যাসিফিক আইল্যান্ডসের উন্নয়নশীল দেশগুলোকে 'বিপুল সুবিধা' দেবে।
উল্লেখ, প্রায় তিন হাজার নৌযানের সমন্বয়ে গঠিত চীনের দূরপাল্লার সামুদ্রিক বহরটি বিশ্বের বৃহত্তম। ২০১৫ থেকে ২০১৯ সময়কালে চীনা নৌযানগুলো অন্তত ২৩৭ বার অবৈধভাবে মাছ ধরার জন্য সীমা লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীন তার মাছধরা নৌকাগুলোকে দক্ষিণ চীন সাগরের খনিজসম্পদ-সমৃদ্ধ এলাকায় প্যারামিলিটারি ফ্লিট হিসেবে ব্যবহার করে।
এদিকে অনেকে বলছেন, আইপিএমডিএ চীনের সাথে কোয়াডের উত্তেজনা বাড়িয়ে দেবে।
বেইজিংভিত্তিক বিশ্লেষক ইনার টানজেন আলজাজিরাকে বলেছেন, এই গ্রুপটি চীনের মাছ শিল্পকে টার্গেট করে করা হয়েছে।
সূত্র : আলজাজিরা