ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৯ মে, ২০২২ ১৮:৪৭ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৩৬৮ বার
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের এখনই সময়।
প্রায় ১৭ কোটি মানুষের এই দেশ বিদেশী-দেশী ব্যবসায়ীদের জন্য একটি বড় বাজার এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এর মধ্যে প্রায় ৪৫ ভাগ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেশ ভালো। পার্শবর্তী ভারত এবং চীন দু’টি বড় বাজার। বাংলাদেশে প্রচুর দক্ষ জনশক্তি রয়েছে। এখানে বিনিয়োগের সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধাও রয়েছে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার বিশেষ সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে। বাংলাদেশে কম খরচে পণ্য উৎপাদন করে সহজেই অন্যদেশে রফতানি করা সম্ভব।’
রোববার রাজধানীর গুলশানস্থ হোটেল ওয়েস্টিনে নরডিক চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির উদ্যোগে ডেনমার্ক, নরওয়ে, সুইডেন দূতাবাস এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের হেড অফ ডেলিগেশনের সহযোগিতায় ফরেন ডাইকেন্ট ইনভেস্টমেন্ট ফর লজিস্টিক সেক্টর’ শীর্ষক এক আলোচনা সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। এতে মূল বিষয়ের ওপর প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশে মার্কস’র কান্ট্রি ম্যানেজার আংশুমান মুস্তাফি।
টিপু মুনশি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সকল ক্ষেত্রে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এ দেশ এখন শক্ত অর্থনৈতিক শক্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে। বাংলাদেশে উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান। আগামী ২০৩০ সালে জাতিসঙ্ঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের মাধ্যমে ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিনত হবে।
তিনি বলেন, দেশে রফতানি বাণিজ্য দ্রুত বাড়ছে। বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য সরকার প্রয়োজনীয় এবং সময়োপযোগী জাতীয় লজিস্টিক নীতিমালা গ্রহণ করেছে। শিল্প কল-কারখানা, যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং বাণিজ্যের সুযোগ সুবিধার টেকসই উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।
মন্ত্রী বলেন, লজিস্টিক সেক্টর দেশের আমদানি ও রফতানির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশে বিনিয়োগ এবং বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য সরকার প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতার পাশপাশি ব্যবসা বান্ধব টেকসই পরিবেশ সৃষ্টির জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
টিপু মুনশি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে বাংলাদেশ পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশের জিডিপি অর্জন সন্তোষজনক ছিল। ইতোমধ্যে এলডিসি গ্রাজুয়েশন করে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিনত হয়েছে। সামনে এখন অনেক চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশ এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত।
তিনি বলেন,‘আমাদের অবকাঠামো সেক্টরে বিনিয়োগ প্রয়োজন। তবে, যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকায়নে সারাদেশে কাজ চলছে।’
অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি বিশেষ অতিথি’র বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো.তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন নরডিক চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট তাহরিন আনাম, এইচএসবিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মাহবুবুর রহমান।
অন্যান্যের মধ্যে ঢাকায় নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি ইস্ট্রুপ পেটারসেন, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত ইসপেন রিকটার-এসভেন্ডসেন, সুইডেনের এ্যাম্বাসেডর আলেকজেন্ড্রা বার্গ ভন লিনডি এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের হেড অফ ডেলিগেশন চার্লস হুইটলি এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র : বাসস