আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ৩১ মে, ২০২২ ০৮:১৫ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৩৮৪ বার
সৌদি আরব ও ইসরাইল তাদের মধ্যকার সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ করছে এবং প্রথম আনুষ্ঠানিক চুক্তির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে বলে জানা গেছে। এই প্রেক্ষাপটে সৌদি আরবের আবেদনে সাড়া দিয়ে ইসরাইল লোহিত সাগরের দুটি দ্বীপের আন্তর্জাতিক মর্যাদা পরিবর্তনের বিষয়টি বিবেচনা করছে। ইসরাইলি পত্রিকা হারেৎজ এ খবর প্রকাশ করেছে।
খবরে বলা হয়, লোহিত সাগরের তিরান ও সানাফির দ্বীপ দুটিকে মিসরের কাছ থেকে সরিয়ে সৌদি নিয়ন্ত্রণে দেয়ার জন্য কাজ করছে হোয়াইট হাউস।
মিসরের পার্লামেন্ট ও সুপ্রিম কোর্ট ১৯৭৯ সালের ইসরাইল-মিসর শান্তিচুক্তির আলোকে দ্বীপ দুটির রিয়াদের কাছে হস্তান্তরের পদক্ষেপ অনুমোদন করেছে। তবে এ কাজে ইসরাইলের অনুমোদনেরও প্রয়োজন হবে।
বাইডেন আগামী মাসে তার মধ্যপ্রাচ্য সফরের সময় সৌদি আরব যাওয়ার বিষয়টিও ভাবছেন। তিনি এসময় ইসরাইলে যাত্রাবিরতি করতে পারেন। ইসরাইল মনে করছে, এই সফর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নতিতে ভূমিকা রাখবে।
সূত্রটি জানায়, ইসরাইল-ফিলিস্তিন সঙ্ঘাতে সৌদি আরবের অবস্থানের কারণে এত দিন দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার প্রয়াস সফল হয়নি।
তবে দুই দেশের মধ্যে নিরাপত্তা ও বাণিজ্য সম্পর্ক নিয়ে গোপনে বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা চলছে।
ইসরাইল মনে করে, ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট বৈশ্বিক জ্বালানি সঙ্কটের কারণে সম্পর্ক উষ্ণ করতে মোহাম্মদ বিন সালমানকে 'ক্ষমা' করে দিতে পারেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আর বিনিময়ে সৌদি আরব তেল রফতানিও বাড়াবে।
মিসর ২০১৬ সালে তিরান ও সাফির দ্বীপ সৌদি আরবের কাছে হস্তান্তরের কথা ঘোষণা করে। মিসরের সাথে ইসরাইলের শান্তিচুক্তি অনুসারে, ইসরাইলের সম্মতি ছাড়া কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে না।
ইসরাইল দখল করে নিতে পারে, এমন শঙ্কায় রিয়াদ ১৯৫০ সালে দ্বীপ দুট মিসরের কাছে হস্তান্তর করেছিল। ইসরাইল ১৯৫৬ সালে কয়েক মাসের জন্য দ্বীপ দুটি দখল করেছিল।
মিসর ১৯৬৭ সালে ছয় দিনের যুদ্ধের পর ইসরাইলি চলাচল রুট বন্ধ করে দিলে ইসরাইল আবার দ্বীপ দুটি দখল করে। তারপর ১৯৮২ সালে শান্তিচুক্তি সই হয় এবং সিনাই উপদ্বীপের পাশাপাশি এ দুটি দ্বীপও ফিরিয়ে দেয়া হয়।
সূত্র : জিও টিভি