আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ৪ জুন, ২০২২ ০৯:১৪ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৩৫২ বার
করোনাভাইরাসের টিকা ক্রয়ে দুর্নীতির অভিযোগে কিরগিস্তানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আলিমকাদির বেইশেনালিয়েভকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি সন্দেহজনক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে ওইসব টিকা কিনেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়া করোনাভাইরাসের চিকিৎসা করার জন্য একটি বিষাক্ত গাছের শিকড় ব্যবহার করার সুপারিশও তিনি করেছিলেন। তবে তার গ্রেফতার আর্থিক দুর্নীতি না প্রেসিডেন্টের সাথে ক্ষমতার দ্বন্দ্বের কারণে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
কিরগিস্তানের সরকারি আইনজীবীরা শুক্রবার বলেন, দেশে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি টিকা ক্রয় করেছিলেন বেইশেনালিয়েভ। এতে মোট ১.৫ বিলিয়ন সোম (১৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) বেশি খরচ হয়েছে।
সরকারি বিবৃতিতে বলা হয় যে চীন, রাশিয়া, আজারবাইজান, কাজাখস্তান ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছ থেকে কিরগিস্তান করোনার টিকা পেয়েছে। কিন্তু তারপরও ২০২১ সালে ২৪,৬০,০০০ ডোজ অতিরিক্ত টিকা ক্রয় করা হয়েছে।
গত মে মাস থেকেই বেশ চাপে ছিলেন বেইশেনালিয়েভ। তিনি তার মন্ত্রণালয়ের কর্মীদের ভীতি প্রদর্শন করা, যৌন নির্যাতন করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
বেইশেনালিয়েভকে প্রেসিডেন্ট সাদির জাপারখের ঘনিষ্ঠ হিসেবে বিবেচনা করা হতো। তার অনুমোদনক্রমেই বাড়িতে তৈরী বিষাক্ত গাছের শিকড়ের রসকে করোনা নিরাময়ের ওষুধ হিসেবে সরকারি হাসপাতালগুলোতে ব্যবহার করা হতো।
তিনি বলেছিলেন, জাপারভই ব্যক্তিগতভাবে চিকিৎসকদের দেয়ার জন্য ওই ব্যবস্থাপত্র দিয়েছিলেন।
তবে এই গ্রেফতার নিয়ে সরকারের মধ্যে অন্তঃদ্বন্দ্বের গুঞ্জন জোরদার করেছে। বেইশেনালিয়েভ গত বৃহস্পতিবার সকালেও প্রেসিডেন্টের পাশে প্রকাশ্যে দেখা গিয়েছিল।
আর সন্ধ্যায় তাকে গ্রেফতার করতে মন্ত্রণালয়ে সামরিক পোশাক পরা বাহিনী প্রবেশ করে। তাকে হাতকড়া পরিয়ে অফিস থেকে বের করা হয়।
সরকারি আইনজীবী শুক্রিবার এএফপিকে বলেন, ন্যাশনাল সিকিউরিটি কমিটি তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে রেখেছে। তিনি এখন বিচারের অপেক্ষায় আছেন।
তবে বেইশেনালিয়েভ তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো অস্বীকার করে বলেছেন, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা সার্ভিস তার ওপর চাপ সৃষ্টি করছিল।
সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্র কিরগিজস্তানে প্রায়ই রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে প্রেসিডেন্টরা ক্ষমতাচ্যুৎ হন। ২০২০ সালে নির্বাচন-পরবর্তী গোলযোগের প্রেক্ষাপটে জাপারভ ক্ষমতায় আসার আগে কারাগারে ছিলেন।
সূত্র : আলজাজিরা