আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ৬ জুন, ২০২২ ১৪:১৫ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৩৫৯ বার
পদক্ষেপ করেও ক্ষোভ প্রশমন হচ্ছে না। উল্টো মহানবী স:-কে নিয়ে ভারতের বিজেপির নেতৃত্বের বিতর্কিত মন্তব্যের অভিঘাত ক্রমশ জোড়াল হচ্ছে। উপসাগরীয় ইসলাম প্রধান দেশগুলোতে অসন্তোষ বাড়ছে। ইতোমধ্যেই কাতার, কুয়েত ও ইরান ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে সমন ধরিয়েছে।
এদিকে, ভারতীয় পণ্য বয়কটের জন্য সোশাল মিডিয়ায় হুহু করে বার্তা ছড়িয়ে পড়ছে। বিদেশে প্রশ্নের মুখে পড়েছে ভারতীয় ধর্ম নিরপেক্ষতার নীতি।
দলের জাতীয় মুখপাত্র নূপুর শর্মা ও দিল্লির মিডিয়া প্রধান নবীন কুমার জিন্দালের মন্তব্য ঘিরে যে বিতর্ক হবে তা হয়তো আঁচ করেছিল পদ্ম বাহিনী। তাই আগুনে ঘি পড়তেই তড়িঘড়ি এই দু’জনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। বিজেপির তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছিল যে তারা ‘সকল ধর্মকে সম্মান করে’ এবং ‘যেকোনো ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের অবমাননার তীব্র নিন্দা করে।’
ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে কাতার। সেদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ভারতীয় রাষ্ট্রদূত দীপক মিত্তালকে তলব করা হয়েছিল এবং একটি ‘সরকারি নোট হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখানে মহানবী স:-এর বিরুদ্ধে ভারতের ক্ষমতাসীন দলের দুই নেতা-নেত্রীর মন্তব্যে কারণে অসন্তোষের কথা বলা হয়েছে এবং বিতর্কিত মন্তব্যের সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান ও নিন্দা প্রকাশ করা হয়েছে।’
বিবৃতিতে যোগ করা হয়, ‘এই মন্তব্যের জন্য কাতার ভারত সরকারের কাছ থেকে জনসাধারণের উদ্দেশে ক্ষমা এবং অবিলম্বে নিন্দা প্রত্যাশা করছে, এই ধরনের ইসলাম বিরোধী মন্তব্যের কারণে শাস্তি না হওয়া মানবাধিকার সুরক্ষার জন্য একটি গুরুতর বিপদ এবং তা আরো কুসংস্কারের দিকে ঠেলে দিতে পারে। যা ক্রমশ হিংসা ও ঘৃণার চক্র তৈরি করবে। এছাড়া এই ধরনের অপমানজনক মন্তব্য ধর্মীয় বিদ্বেষের উসকানি দেবে এবং সারা বিশ্বের দুই বিলিয়নেরও বেশি মুসলমানকে ক্ষুব্ধ করবে।’
এই বিতর্কিত মন্তব্যের সময়ই ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতি এম ভেঙ্কাইয়া নাইডু তিন দিনের কাতার সফরে রয়েছেন।
তেহেরানের তরফেও বিজেপি কর্মকর্তাদের মন্তব্য নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান চলতি সপ্তাহে ভারত সফরে আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
পাকিস্তানও অসন্তোষের কথা উল্লেখ করেছে। বিশ্বমঞ্চে দিল্লিকে কোনঠাসা করতে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ বলেছেন, ‘বারবার বলেছি যে মোদীর অধীনে ভারত ধর্মীয় স্বাধীনতাকে পদদলিত করছে এবং মুসলমানদের নিপীড়ন করছে। বিশ্বের এই দিকটি দেখা প্রয়োজন এবং ভারতকে কঠোরভাবে তিরস্কার করা উচিত।’
সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস