ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ৫ জুলাই, ২০২২ ০৯:৫৭ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৪৪৯ বার
ঠাকুরগাঁওয়ের একটি পশুর হাটে ১৪৪ ধারা জারি করেছে পুলিশ প্রশাসন। মালিকানা নিয়ে বিরোধের কারণে সালন্দর পশুর হাটে ১৪৪ ধারার নোটিস টানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি কামাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ওই পশুর হাটের বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করা গোলাম মাওলা চৌধুরী জানান, গরু ছাগলের হাটটি যে জায়গায় বসে সেটির পরিমাণ ২ একর এক শতাংশ এবং সেই জায়গাটি পুরোপুরি আমার ব্যক্তি মালিকানায়। ইতোপূর্বে আমি এ হাট থেকে একটি টাকাও নিতাম না। এ হাটটির ব্যাপারে মাইকিং করেছিল সাবেক মেম্বার মিজানুর এবং চেয়ারম্যান মুকুট চৌধুরীর বড়ভাই। তারা আমার জায়গায় পশুর হাট বসাতে তো আমার অনুমতি নিতে হবে। আমি এ ব্যাপারে গত মাসের ২৯ তারিখে একটি অভিযোগ দায়ের করি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে। রোববার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এর শুনানি করেন এবং হাটটিতে ১৪৪ ধারা জারির আদেশ দেন। পরবর্তীতে সদর থানার ওসি গিয়ে আদালতের আদেশে নোটিস টানিয়ে দেন।
এদিকে কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন পশুর হাটগুলোতে অতিরিক্ত হাসিল আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। নির্ধারিত দরের চেয়ে কয়েকগুণ আদায় করছেন হাট ইজারাদাররা। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ভুক্তভোগীরা। অনেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে গরু-ছাগল কিনতে বাধ্য হচ্ছেন বলে জানিয়েছে ক্রেতারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সদর উপজেলার পশুর বড় হাটগুলোর মধ্যে খোচাবাড়ি হাট, চৌধুরী হাট, গড়েয়া হাট, সেনুয়া, শিবগঞ্জ, মাদারগঞ্জ, ফাড়াবাড়িসহ বিভিন্ন হাটে ইজারাদাররা খেয়াল-খুশিমতো টোল আদায় করছেন।
গড়েয়া হাটে চন্ডিপুর গ্রাম থেকে গরু কিনতে আসা মইনুল ইসলাম অভিযোগ করেন, গরুর দাম নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। তবে খাজনা বা টোল বাড়তি আদায় করা হচ্ছে। গরুপ্রতি সরকারি রেট ২৩০ টাকা নির্ধারিত থাকলেও এখানে আদায় করা হচ্ছে ৫০০ টাকা। গরুপ্রতি ২৭০ টাকা বেশি আদায় করা হচ্ছে, যা আদায় রশিদে উল্লেখ করা হচ্ছে না। এ অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে ওই হাটের রসিদ লেখক কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
অতিরিক্ত টোল আদায়ের বিষয়ে হাটের ইজারাদারদের সঙ্গে কথা বললে এর সদুত্তর না দিয়ে পাশ কাটিয়ে যান।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু তাহের মো. শামসুজ্জামান বলেন, হাটে সরকার নির্ধারিত মূল্যেই খাজনা আদায় করতে হবে। অতিরিক্ত আদায়ের কোনো সুযোগ নেই।