ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ৩১ জুলাই, ২০২২ ১১:১০ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৩৯৬ বার
লিভারের যত্ন নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। কারণ শরীরের এই অঙ্গের ওপর অনেকটাই নির্ভর করে আমাদের সুস্থ থাকা। লিভারে কোনো কারণে সমস্যা হলে তা প্রভাব ফেলতে পারে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যেও। তাই লিভার ভালো রাখার জন্য সচেতন হতে হবে আমাদেরই। লিভারের কার্যকারিতা বাড়াতে খেতে হবে সঠিক খাবার। এমন কিছু খাবার ও পানীয় আছে যেগুলো লিভারের কার্যকারিতা বাড়াতে কাজ করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
চা খাওয়ার উপকারিতা
চা পানের অভ্যাস আছে নিশ্চয়ই? এই অভ্যাস কিন্তু আপনার লিভার ভালো রাখতে সাহায্য করতে পারে। কারণ লিভারের কার্যকারিতা এবং কোষের পুনর্জন্ম বাড়াতে সাহায্য করে এই পানীয়। এক্ষেত্রে ব্ল্যাক টি ও গ্রিন টি বেশি কার্যকরী। চা পান করলে লিভারের এনজাইমের নিঃসরণ বাড়ে। এটি লিভারের চর্বি কমাতেও কাজ করে। চায়ে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরণের ক্যান্সার প্রতিরোধেও কাজ করে। জাপানের এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন চা পান করলে তা লিভারের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
বাতাবি লেবু খাবেন যে কারণে
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরা একটি ফল হলো বাতাবি লেবু বা জাম্বুরা। এটি লিভারের কোষের মেরামত ও পুনর্জন্মে সাহায্য করে। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান হেপাটিক ফাইব্রোসিস হওয়ার আশঙ্কা কমায়। ফলে লিভারে ক্ষতিকারক সংযোগকারী টিস্যু তৈরির কারণে দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ এবং ব্যথার ভয় দূর হয়। লিভারে অতিরিক্ত চর্বি জমা প্রতিরোধ করে এবং প্রদাহ কমাতে কাজ করে বাতাবি লেবু।
চর্বিযুক্ত মাছ খান নিয়মিত
চর্বিযুক্ত মাছ খাওয়ার আছে অনেক উপকারিতা। এতে থাকে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। চর্বিযুক্ত মাছ খেলে তা প্রদাহ নিরাময় করে এবং লিভারে চর্বি জমতে দেয় না। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন চর্বিযুক্ত মাছ খেলে লিভারের চর্বি এবং ট্রাইগ্লিসারাইড কমাতে কাজ করে। প্রাকৃতিক কোলাজেনের উপস্থিতির কারণে এটি কোষ এবং টিস্যু পুনর্জন্মেও সহায়তা করে। তাই খাবারের তালিকায় নিয়মিত চর্বিযুক্ত মাছ রাখতে হবে।
বিটরুটের জুস পান করবেন যে কারণে
বিটরুটের জুস পান করলে তা আপনাকে অনেক উপকারিতা এনে দেবে। লিভারের স্বাস্থ্য ভালো রাখার অন্যতম উপায় হলো প্রতিদিন বিটরুটের জুস পান করা। এটি হার্ট ও লিভারের জন্য ভালো কাজ করে। শরীরের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমানো এবং কোষের পুনর্জন্ম ঘটাতে কাজ করে বিটরুটের জুস।
বেরি জাতীয় ফল
বেরি জাতীয় ফলে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা অ্যান্থোসায়ানিন নামে পরিচিত। প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় ব্লুবেরি, ক্র্যানবেরির মতো বেরি অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের কারণে হওয়া ক্ষতি কমাতে কাজ করে। এছাড়াও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ বেরি শরীরে টিউমার বা ফাইব্রোসিস প্রতিরোধে সাহায্য করে। তার লিভার সুস্থ রাখতে নিয়মিত বেরি জাতীয় ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন।