ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২ অগাস্ট, ২০২২ ১৭:০৩ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৩০৯ বার
বিদ্যুতের ঘাটতি সামাল দিতে যখন দেশে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং করতে হচ্ছে, তখন চুরির মহোৎসব চলছে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায়। বিশেষ করে বস্তিগুলোতে রাজনৈতিক নেতা আর বিদ্যুৎ বিভাগের অসাধু কর্মীদের যোগসাজোশে সচল অবৈধ লাইন। মিটার না থাকায় মিরপুরের চলন্তিকা বস্তিতে যে যার মতো বিদ্যুৎ অপচয় করছেন।
মিরপুরের চলন্তিকা বস্তি। ৩০ হাজার ঘরে কয়েক লাখ মানুষের বাস। যার প্রতিটি ঘরেই রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। তবে বেশির ভাগই অবৈধ। প্রধান সড়কের সঞ্চালন লাইন থেকে তার টেনে দেওয়া হয়েছে এসব সংযোগ। যার নেই কোনো বৈধতা।
এসব বিদ্যুৎ লাইনের নেই কোনো মিটার। যে যেখান থেকে পেরেছেন লাইন টাঙিয়ে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার চার্জের ব্যবস্থা করেছেন। তবে কারা এসব লাইন দিয়েছে, কারা নিয়ন্ত্রণ করছে-সে বিষয়ে মুখ খুলতে চান না বস্তির কেউ।
স্থানীয় এক দোকানি বলেন, এটা বলা যাবে না। কারেন্ট বিল নাই। কীসের কারেন্ট বিল? আমি দোকান ভাড়া নিয়েছি। মালিক দোকানে লাইন দিয়েছে। কোথায় থেকে দিয়েছে, সেটা তিনি জানেন।
শুধু ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার চার্জ নয়, এই বস্তিতে আছেন এসি ব্যবহারকারীও। দোকানঘরে নেই বিদ্যুৎ ব্যবহারের কোনো সীমা-পরিসীমা। কারণ মাস শেষে নির্দিষ্ট অঙ্কের ভাড়া দিয়ে যত খুশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করা যায়।
এক বাসিন্দা বলেন, আমি সবার নাম বলতে পারব না। আমি যে বাড়িতে থাকি, সে বাড়ির মালিকের নাম বলতে পারব। আমি বাসা ভাড়া দেই। এখানে বিদ্যুৎ বিল নেয় না। ভাড়ার সঙ্গেই, মিটার নাই।
ক্যামেরার সামনে মুখ না খুললেও অনেকেই জানান স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক নেতা এই সিন্ডিকেট পরিচালনা করে। তবে এলাকার সংসদ সদস্যের দাবি, বিদ্যুৎ বিভাগ কঠোর হলে কেউ অবৈধ সংযোগ ব্যবহার করতে পারবে না।
ঢাকা-১৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী হোক বা অন্য যেকোনো দলের নেতাকর্মী হোক; এমনকি আমি যদি অপরাধী হই, আমাকেও যেন শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হয়। অবৈধভাবে বিদ্যুৎ চালাবে, আমরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারি না। আমরা একসঙ্গে কাজ করতে চাই। ডেসকোকে সহযোগিতা করতে চাই।
অবৈধ সংযোগ বন্ধ করে বস্তিবাসীদের জন্য বৈধ বিদ্যুতের লাইন দিয়ে সরকারের রাজস্ব বাড়ানো হোক, এমন দাবি সচেতন মহলের।