ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৫:৪৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৩০০ বার
যশোরের শার্শা উপজেলায় নয় কেজি ৭৫৯ গ্রাম ওজনের ৩০ টি স্বর্ণের বারসহ রবিন (৩৫) ও আবুল কাশেম (৩৫) নামে দু’পাচারকারীকে আটক করেছে যশোর ডিবি ও শার্শা থানা পুলিশ। এ সময় পাচারকারীদের ককটেল হামলায় যশোর ডিবি পুলিশের দু’জন ও শার্শা থানা পুলিশের এক সদস্য আহত হয়।
বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে শার্শা উপজেলার জামতলার পাঁচপুকুর নামক এলাকার ওরিয়েনটাল ওয়েল কোম্পানির সামনে থেকে তাদের আটক করা হয়।
রবিন আবুল সরকারের ছেলে আর আবুল কাশেম কবির হোসেনের ছেলে। আটক উভয়ের বাড়ি কুমিল্লা জেলার হোমনার পাঁচ গাছিয়া ও দাউদকান্দি উপজেলার সাজাদিয়া এলাকায়।
একটি সূত্রে দাবি, মূল ঘটনাটি ঘটেছে বাগআঁচড়া সাতমাইল পেট্রোল পাম্পের সামনের থেকে। এ সময় ডিবি পুলিশ স্বর্ণ ও পাঁচ আসামিকে নিয়ে যশোরে যাওয়ার পথে জামতলার পাঁচপুকুর নামক এলাকার ওরিয়েনটাল ওয়েল কোম্পানির সামনে পৌঁছালে পিছন থেকে ১০ থেকে ১৫টি মোটরসাইকেলযোগে ২৫ থেকে ৩০ জনের পাচারকারী দলের সদস্যরা ডিবি পুলিশের গাড়ি ব্যারিকেট দিয়ে ককটেল বিষ্ফোরণ করে দুই পাচারকারীকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পুলিশ ও পাচারকারীদের সংঘর্ষে ওলিয়ার রহমান নামে এক পাচারকারী নিহত হয়।
পুলিশের দাবি, ওলিয়ার মোটরসাইকেলচাপায় নিহত হয়েছে। তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন নাভারন সার্কেলের এএসপি জুয়েল ইমরান।
পুলিশ জানায়, স্বর্ণ উদ্ধারের সময় পাচারকারীরা পুলিশের ওপর হামলা করে। এ সময় কয়েকটি মোটরসাইকেলযোগে একদল পাচারকারী পুলিশের ওপর চার থেকে পাঁচটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে পাল্টা রাবার বুলেট ছুড়লে হামলাকারীরা মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যায়। এ সময় দুই পাচারকারীকে আটক করা হয়। হামলাকারীদের ফেলে যাওয়া তিনটি মোটরসাইকেলও জব্দ করে পুলিশ।
শার্শার নাভারন সার্কেলের এএসপি জুয়েল ইমরান জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নাভারন সাতক্ষীরা সড়কের জামতলা এলাকার পাঁচপুকুর নামক স্থানে অভিযান চালায় যশোর ডিবি ও শার্শা থানার টহলদলের পুলিশ সদস্যরা। কৌশলে ছদ্মবেশে দীর্ঘ দিন ধরে স্বর্ণপাচার করে আসছিল তারা। সীমান্ত পথে ভারতে স্বর্ণ পাচারকালে তাদের আটক করা হয়। এ সময় রবিনের শরীরে ও মোটরসাইকেলে কৌশলে লুকিয়ে রাখা নয় কেজি ৭৫৯ গ্রাম ওজনের ৩০টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য সাড়ে সাত কোটি টাকা।
স্বর্ণসহ পাচারকারীদের শার্শা থানায় সোপর্দ করা হবে এবং জব্দকৃত মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেখে নিহতের পরিচয় নিশ্চিতের চেষ্টা চলছে বলে জানান এএসপি জুয়েল ইমরান।
