ঢাকা, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

গর্ভধারণের উপযুক্ত সময় কোনটি?

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১০:২১ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৩৪৩ বার


গর্ভধারণের উপযুক্ত সময় কোনটি?

গর্ভধারণ করা একজন নারীর বিবাহিত জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। গর্ভসঞ্চার হতে কার কতদিন সময় লাগবে তা নির্ধারণ করার সহজ কোনো উপায় নেই। অনেকে প্রথম চেষ্টাতেই সফল হন। কিন্তু কারো কারো ক্ষেত্রে অনেকবার চেষ্টা করার পরও গর্ভধারণ করা হয়ে ওঠে না। 

সহবাসের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মানতে হয়। মাসের নির্দিষ্ট সময়ে সহবাস করলে গর্ভধারণ করার সম্ভাবনা থাকে বেশি। কিন্তু সেই সময়টি কখন? 

বিশেষজ্ঞদের মতে, ফার্টাইল পিরিয়ডে নিয়ম মেনে সহবাস করলেও সব ঠিকঠাক থাকলে গর্ভসঞ্চারে অন্তত ৬/৭ দিন সময় লাগে। শুক্রাণু আর ডিম্বাণু প্রথমে ফ্যালোপিয়ান টিউবে পৌঁছায়। সেখানে গিয়ে নিষিক্ত হয়ে জাইগোট তৈরি করে। এরপর সেখান থেকে নিষিক্ত ডিম্বাণু বা জাইগোট জরায়ু পৌঁছায় এবং স্থায়ী হয়। এই পুরো প্রক্রিয়ার জন্য অন্তত এক সপ্তাহ সময় লাগে। 

ইংল্যান্ডের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসকদের মতে, সব নিয়ম মেনে চললে, অর্থাৎ কোনো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা না নিয়ে নিয়মিত সহবাস করলে, বিশেষ করে ফার্টাইল পিরিয়ডে, ১০০ জন মহিলার মধ্যে ৮৪ জনের এক বছরের মধ্যে গর্ভসঞ্চার হয়। নিয়মিত মাসিক হয় এমন নারীদের মাসিক শেষ হওয়ার পরবর্তী ৭ থেকে ১৯তম দিনকে সাধারণত ফার্টাইল পিরিয়ড ধরা হয়। 

গর্ভধারণ না হওয়ার কারণ :
ইংল্যান্ডের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসকেরা বেশ কয়েকটি কারণকে চিহ্নিত করেছেন গর্ভধারণ না হওয়ার জন্য। 

বয়স যত বেশি হয়, গর্ভধারণে তত সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, বয়স ৩০ এর কোঠায় পৌঁছানোর আগে সন্তান গ্রহণ করা সবচেয়ে ভালো। এসময় ডিম্বাণু ও শুক্রাণু তরতাজা থাকে। এই বয়সের মধ্যে সম্ভব না হলে ৩২-৩৩ বছরের মধ্যে সন্তান নিতে চেষ্টা করুন। 

যেমন নারীর হরমোনজনিত সমস্যা রয়েছে তাদের সহজে গর্ভসঞ্চার হতে চায় না। বিশেষ করে পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম, হাইপো থাইরয়েডিজম বা পিটুইটারি গ্ল্যান্ডের সমস্যা তার মধ্যে অন্যতম। এসব সমস্যা থাকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন। 

অতিরিক্ত ওজনও গর্ভধারণে সমস্যা সৃষ্টি করে। সন্তান গ্রহণ করার কথা ভাবলে সঠিক খাবার খেয়ে ও মাপমতো ব্যায়াম করে ওজন কমিয়ে ফেলুন। আবার ওজন খুব কম হলেও সমস্যা হয়। 

কিছু নারী অ্যানোরেক্সিয়া নার্ভোসা নামে এক ধরনের ইটিং ডিসঅর্ডারে ভোগেন, এর মূল উপসর্গ হল ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়। সেই ভয় থেকে তারা খাওয়া-দাওয়া একেবারে ছেড়ে দেন। সঠিক ব্যবস্থা না নিলে, মনোচিকিৎসকের পরামর্শমতো যথাযথ চিকিৎসা না করালে এরপর ত্বক ও চুলের অবস্থা খারাপ হয়। পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যায়। দেখা দেয় বন্ধ্যত্ব। 

বিশেষজ্ঞের পরামর্শ :
নিয়মিত সহবাস করুন। ৬ মাসের মধ্যে গর্ভসঞ্চার না হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করুন। বয়স কম হলে এবং কোনো শারীরিক জটিলতা না থাকলে এক বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারেন। পিরিয়ড মিস করলে হোম প্রেগন্যান্সি কিট দিয়ে টেস্ট করে দেখুন।


   আরও সংবাদ