ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৫:০২ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৩৫৭ বার
আগামী তিন মাস চোখ ওঠা প্রাদুর্ভাব স্থায়ী হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকরা। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ‘চোখ ওঠা’ বা কনজাংকটিভাইটিস বা চোখের প্রদাহ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।
এ প্রাদুর্ভাবের ফলে সিরাজগঞ্জে চক্ষু হাসপাতালের অস্ত্রোপচার কক্ষ বন্ধ রাখা হয়েছে। জনসতর্কতায় লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়া সিলেটেও দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে এ রোগ।
এদিকে, চোখ ওঠা রোগীদের বিষয়ে জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। নির্দেশনায় চোখ ওঠার ৭ দিনের মধ্যে যাত্রীদের বিদেশ ভ্রমণ না করতে অনুরোধ জানিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
বুধবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষুবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. জাফর খালেদ গণমাধ্যমকে বলেন, প্রতিদিনই চোখ ওঠা বা কনজাংকটিভাইটিস রোগী আসছে। ছোঁয়াচে ভাইরাসজনিত রোগটিতে শিশুরা আক্রান্ত হলে সুস্থ হতে তিন থেকে চার দিন এবং বড়দের সাত থেকে ১০ দিন সময় লাগছে।
তিনি বলেন, এই ভাইরাসটি করোনাভাইরাসের মতোই ছড়াচ্ছে। সংক্রমিত ব্যক্তিদের অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ নিতে হবে এবং আইসোলেশনে (আলাদা) থাকতে হবে।
ডা. মো. জাফর খালেদ আরও বলেন, চোখে ব্যথা হলে বা আলোর দিকে তাকাতে কষ্ট হলে চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে। আরও দুই থেকে তিন মাস এর প্রকোপ থাকতে পারে।
এদিকে ‘চোখ ওঠা’ নিয়ে আতঙ্কিত না হতে এবং সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. এস এম শাহরিয়ার বলেন, শুধু সিলেটে নয়, দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও দ্রুত ছড়াচ্ছে রোগটি। এতে সাধারণত কাউকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় না। বেশিরভাগ রোগী সাধারণ ড্রপ ব্যবহার করেই সুস্থ হচ্ছেন। আক্রান্তের সঠিক পরিসংখ্যান বলা কঠিন।
পরিবেশদূষণ থেকে এ রোগের ভাইরাস বেশি ছড়াচ্ছে বলেও ধারণা করছেন তিনি।
সিরাজগঞ্জে শিশুরা ‘চোখ ওঠা’ রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ফরিদ উদ্দিন বলেন, প্রতিদিনই হাসপাতালে রোগী বাড়ছে। এক সপ্তাহে হাজারের বেশি রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া সিরাজগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. রামপদ রায় বলেন, চোখ ওঠা রোগীদের বিষয়ে প্রত্যেকটি হাসপাতালে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জনসচেতনতায় লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে।