ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০৯:০৯ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ২৭৫ বার
ইডেন মহিলা কলেজে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে আরও একটি মামলা হয়েছে। শুক্রবার সকালে লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এম এম মোর্শেদ সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ইডেন ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিতু আক্তার লালবাগ থানায় মামলাটি করেছেন। ইডেন ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভা ও সাধারণ সম্পাদক মোছা. রাজিয়া সুলতানার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর অপরপক্ষকেও আসামি করে পাল্টা মামলা করলেন তিনি। রিতু রিভা-রাজিয়ার অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
ওসি জানান, বুধবার রাতে মামলা হয়েছে। ইডেন কলেজে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় দু’টি মামলা হয়েছে। একটি কোর্টে, অপরটি থানায়। তবে দুই মামলার তদন্তই লালবাগ থানা পুলিশ করছে।
বেআইনিভাবে মারপিট, হত্যা চেষ্টা, চুরি, ক্ষতি করা ও হুমকির অভিযোগে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৪৩, ৩২৩, ৩০৭, ৩৭৯, ৪২৭ ও ৫০৬ ধারায় এ মামলা করা হয়।
এ মামলার আসামিরা হলেন-জেবুন্নাহার শিলা, সামিয়া আক্তার বৈশাখী, মারজানা আক্তার উর্মি, কল্পনা বেগম, সোনালী আক্তার, সুস্মিতা বাড়ৈ, আফরোজা রশ্মি, রুপা দত্ত, ফাতেমা খানম বিন্তি, সাদিয়া জাহান সাথী, সানজিদা পারভিন চৌধুরী, শেখ সানজিদা, এস এম মিলি, মারিয়া, শারমিন, জান্নাতুল ফেরদৌস, মনিকা তনচংগ্যা মিমি, মায়দা বেগম মায়া, তানজিলা আক্তারসহ অজ্ঞাত আরও চার-পাঁচজন।
এদের অধিকাংশই ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রলীগ থেকে সদ্য বহিষ্কৃত সহসভাপতি ও সহসম্পাদক। একইসঙ্গে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরোধী প্যানেল হিসেবে পরিচিত।
এর আগে, ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সহসভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌসী ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মোস্তফা রেজা নুরের আদালতে মামলার আবেদন করেন। আদালত তা আমলে নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন।
এ মামলার আসামিরা হলেন- তামান্না জেসমিন রিভা, রাজিয়া সুলতানা, নুঝাত ফারিয়া রোকসানা, মিম ইসলাম, নূর জাহান, ঋতু আক্তার, আনিকা তাবাসসুম স্বর্ণা ও কামরুন নাহার জ্যোতিসহ অজ্ঞাত আরও ২০/২৫ জন।
জানা গেছে, ইডেন ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সিট বাণিজ্যসহ নানান বিষয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেন ছাত্রলীগ নেত্রী জান্নাতুল ফেরদৌসী।
অনিয়ম নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলায় শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে জান্নাতুলকে তার হলের কক্ষ থেকে টেনে-হিঁচড়ে বের করে আনেন কলেজ ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী। পরে সভাপতি তামান্না ও সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানার সামনে নির্যাতন করা হয়।