ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

বিএনপি বৈঠক করছে আনুবীক্ষণিক দলগুলোর সাথে : তথ্যমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ৩ অক্টোবর, ২০২২ ২২:৩১ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ২৫৯ বার


বিএনপি বৈঠক করছে আনুবীক্ষণিক দলগুলোর সাথে : তথ্যমন্ত্রী

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সংলাপের নামে বিএনপি আনুবীক্ষণিক দলগুলোর সাথে বৈঠক করছে। তিনি বলেন, ‘বিএনপি ২০১৮ সালেও সমস্ত দলের সাথে সংলাপ করেছিল, সংলাপ করে একটি বড় ঐক্য, তাদের ভাষায় একটি জাতীয় ঐক্য তারা প্রতিষ্ঠা করেছিল এবং সেই ঐক্যের ফলাফল হচ্ছে, বিএনপি মাত্র পাঁচটি আসন পেয়েছিল। সেখানে ডানপন্থী-বামপন্থী, অতি ডান-অতি বামরা ছিল। আবার মাইক্রোস্কোপিক দলগুলোও ছিল, যেমন গতকাল তারা বৈঠক করেছে কল্যাণ পার্টির সাথে। আনুবীক্ষণিক দলের সাথে বৈঠক করে যখন তারা বলে যে, বৃহত্তর ঐক্য গঠন করবে, তখন মানুষ হাসে। কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান আছে, মহাসচিব যে কে আমি জানি না, মির্জা ফখরুল সাহেব জানেন কি না, তাও আমি জানি না। এ ধরণের দলের সাথে বৈঠক কিছু সংখ্যক সংবাদ পরিবেশন করা ছাড়া অন্য কোন কিছু নয়।’ আজ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমের কাছ থেকে কাউন্সিলের বার্ষিক প্রতিবেদন ২০২১ গ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে বিএনপি’র সাম্প্রতিক সংলাপ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রেস কাউন্সিলের সদস্যদের মধ্যে শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন এমপি, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, দি ডেইলি অবজারভার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, দৈনিক যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি সম্পাদক এম. জি কিবরিয়া চৌধুরী, বিএফইউজের দপ্তর সম্পাদক সেবিকা রাণী, প্রেস কাউন্সিল সচিব শাহ আলম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিকরা ‘বিএনপির মিছিল সমাবেশ মারমুখী বলে প্রতীয়মান’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির উদ্দেশ্য হচ্ছে একটি সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি করা। তারা ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে, ২০১৮ সালে নির্বাচনের আগে সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি করেছিল, এখনও চেষ্টা করছে। তারা উস্কানিমূলকভাবে তাদের কর্মীদের লেলিয়ে দিচ্ছে পুলিশ এবং সাধারণ জনগণের ওপর। দেখা যাচ্ছে যে, তাদেরই ইটের আঘাতে তাদের বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছে, মৃত্যুবরণও করেছে। তারা এ ধরণের ঘটনা ঘটাবে, নিজেরা নিজেদের কর্মীদের মারবে, মেরে পুলিশের ওপর দায় চাপাবে, সরকারের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করবে।’ ‘আমরা আমাদের দলকে সংযতভাবে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি, পুলিশও বিএনপির যুদ্ধংদেহী মনোভাব, সংঘাতের অপচেষ্টাকে অত্যন্ত সংযতভাবে মোকাবিলা করছে, কিন্তু তারা যদি এটি অব্যাহত রাখে, জনগণ তাদেরকে আবারও আগে যেভাবে প্রতিহত করেছিল তাই করবে’।
নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূতের মন্তব্য প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এটি তো নতুন নয়, যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য যারা রাষ্ট্রদূত ছিল, তারাও এ নিয়ে কথা বলেছে এবং অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রদূতরাও এ নিয়ে কথা বলে। আমরা তো তাদের সাথে একমত। আমরা স্বচ্ছ এবং অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচন চাই এবং এটি শুধুমাত্র সরকারি দলের দায়িত্ব না, এ দায়িত্ব কিন্তু সব দলের। যারা এ নিয়ে বক্তব্য রাখছেন, আশা করি তাদের সেই বক্তব্যগুলো বিএনপিসহ যারা সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা চালায়, তাদের কানে পৌঁছুবে এবং নির্বাচন কমিশনের অধিনে একটি অংশগ্রহণমূলক স্বচ্ছ নির্বাচন করার ক্ষেত্রে তারা সহায়তা করবে। বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা অবশ্যই আমাদের নির্বাচন নিয়ে পরামর্শ দিতে পারেন, সেটি যেন অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের মতো না হয়, একইসাথে কূটনৈতিক শালীনতা যেন লঙ্ঘন না হয়।’
এর আগে প্রেস কাউন্সিল প্রসঙ্গে ড. হাছান বলেন, বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই প্রেস কাউন্সিল প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং এটির উদ্দেশ্য ছিল পাঠক এবং সংবাদপত্রের মধ্যে যদি কোনো বিরোধ তৈরি হয় সেটি নিষ্পত্তি করা। কোয়াসি-জুডিশিয়াল বডি হিসেবে এটিকে গঠন করা হয়েছিল। সেই ক্ষেত্রে প্রেস কাউন্সিল অনেক গুরুত্বপূর্ণ  ভূমিকা রেখেছে। পাশাপাশি, পঞ্চাশ বছর আগের এ প্রেস কাউন্সিল আইনটিকে যুগোপযোগীভাবে কার্যকর করার জন্য সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন এবং অন্যান্য অংশীজনদের সাথে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে আলোচনা করে প্রেস কাউন্সিল একটি খসড়া প্রস্তাব দিয়েছে, সেটি মন্ত্রিসভা হয়ে ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে গেছে। এরপর আবারও ভেটিং হবে।


   আরও সংবাদ