ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৫ অক্টোবর, ২০২২ ২০:০৮ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৪০৪ বার
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু এমপি বলেছেন, দুূরাবস্থায় মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে যারা তাদের নিয়ে খেলতে চায় তারা দেশপ্রেমিক শক্তি নয়।
তিনি বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বৈশ্বিক সংকট, তেল-গ্যাসের অভাব ও অর্থনৈতিক মন্দাকে পুঁজি করে দুূরাবস্থায় মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে যারা তাদের নিয়ে খেলতে চায় তারা দেশপ্রেমিক শক্তি নয়। রাজনীতির নামে তারা জনগনকে ব্যবহার করতে চায়।’
আজ রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনিস্টিটিউট মিলনায়তনে বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এম এল) এর ৫৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে কেন্দ্রীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমির হোসেন আমু এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বামপন্থী রাজনীতি যত শক্তিশালী হবে গনতান্ত্রিক প্রগতিশীল রাজনীতি তত বেশী গতিশীল হবে। প্রধানমন্ত্রীও চান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশে বামপন্থী রাজনৈতিক শক্তির বিকাশ স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে ছাড়িয়ে যাক, যা এদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রগতিকে আরো ত্বরান্বিত করবে।
আমির হোসেন আমু বলেন, প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়ে এদেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে বিরাজনীতিকরণ করেছে জিয়াউর রহমান। স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে রাজনৈতিক পুনর্বাসনের মাধ্যমে ধ্বংস করেছে সমাজতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার পথ।
বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক কমরেড দিলীপ বড়ুয়ার সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত মি. লি জিমিং।
অন্যান্যের মধ্যে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টি-জেপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম, ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, গণআজাদী লীগের সভাপতি এডভোকেট এস কে সিকদার, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের পলিটব্যুরোর সদস্য কমরেড লুৎফর রহমান, কমরেড সাইফুল ইসলাম ও কমরেড ধীরেন সিংহ।
সমাবেশে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বক্তারা বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বাজার সিন্ডিকেট কঠোর হস্তে দমন করতে না পারলে সরকারের সকল উন্নয়ন কর্মকান্ড সেই সিন্ডিকেটের সদস্যরা গিলে খাবেন।
বক্তারা বলেন, বিএনপি-জামাতের সকল ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করবে ১৪ দল।