ঢাকা, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

দেশে চারজনে একজন স্ট্রোকের ঝুঁকিতে

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর, ২০২২ ১২:৩৬ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৫৭৩ বার


দেশে চারজনে একজন স্ট্রোকের ঝুঁকিতে

দেশে আশঙ্কাজনক হারে বাড়েছে স্ট্রোকের রোগী। প্রতি চারজনে একজন স্ট্রোকের ঝুঁকিতে রয়েছেন। দেশে মোট মৃত্যুর তৃতীয় কারণ এটি। আক্রান্ত হওয়ার চার ঘণ্টার মধ্যে চিকিৎসার আওতায় এলে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে রোগী। কিন্তু যত দেরি হবে ততই পঙ্গুত্ব ও জীবননাশের ঝুঁকি বাড়ে। 

 

বুধবার (২৬ অক্টোবর) কালের কণ্ঠ ও ইউনাইটেড হসপিটাল আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন বক্তারা। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় কালের কণ্ঠ অফিসের সম্মেলন কক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

 

কালের কণ্ঠ সম্পাদক শাহেদ মুহাম্মদ আলীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নিউরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভী, বাংলাদেশ সোসাইটি অব নিউরোসার্জনসের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. মো. শফিকুল ইসলাম, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মালিহা হাকিম, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. এম এস জহিরুল হক চৌধুরী, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের যুগ্মসচিব ডা. এ এম পারভেজ রহিম। আরও উপস্থিত ছিলেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা মো. ইব্রাহিম খলিল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শিরাজী শাফিকুল ইসলাম, ইউনাইটেড হাসপাতালের হেড আউটরিচ মার্কেটিং ডা. ফজলে রাব্বী খান, সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. সৈয়দ ছায়ীদ আহমদ, ডা. ফজলে মাহমুদ, ডা. আলিম আক্তার ভূঁইয়া, কনসালট্যান্ট ডা. এস এম সাদলী। 

 

বক্তারা বলেন, ব্রেনে রক্তনালির রোগ হলো স্ট্রোক। রক্তক্ষরণ বা রক্তনালি বন্ধ হলে স্ট্রোক হয়। স্ট্রোক প্রতিরোধ করতে রক্তচাপ, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। অতিরিক্ত চর্বিজাতীয় খাবার, লাল মাংস কম খেতে হবে। প্রতিদিন হাঁটার অভ্যাস করতে হবে। স্ট্রোক হলে ব্রেনে প্রতি মিনিটে ২০ লাখ নিউরন ধ্বংস হয়। তাই প্রথম উপসর্গ দেখা দেওয়ার পরের চার ঘণ্টা গোল্ডেন আওয়ার। এসময় রোগীকে হাসপাতালে আনলে ওষুধের মাধ্যমে কিংবা অপারেশন করে চিকিৎসকরা মস্তিষ্কের রক্তনালি থেকে জমাটবাঁধা রক্ত বের করে আনতে পারেন। কিন্তু দেরি হলে পঙ্গুত্ব ও জীবনহানির ঝুঁকি বেড়ে যায়।


   আরও সংবাদ