ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ৯ নভেম্বর, ২০২২ ১৬:৫৫ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৪২১ বার
ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের কেবিন ক্রু ছিলেন আম্বিয়া সুলতানা এমিলি। এ পদে খণ্ডকালীন চাকরি করেছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলোইন্সেও। পরিবারসহ নারায়ণগঞ্জে থাকা এমিলির ছেলের গৃহশিক্ষক আল-আমিনের মাধ্যমে তার জীবন পাল্টে যায়। সেই শিক্ষকের মাধ্যমেই তিনি ও তার ছেলে আবু বক্কর রিয়াসাদ রাইয়ান (১৫) নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়’তে উদ্বুদ্ধ হয়ে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়েন। জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ায় এবার অনুশোচনায় কাঁদলেন এমিলি, জানালেন ছেলেকে ফিরে আসার আকুতি।
সংবাদ সম্মেলনে কান্নাজড়ি কণ্ঠে আম্বিয়া সুলতানা এমিলি বলেন, ‘চরম একটা ভুল পথকে সঠিক মনে করে সন্তানকে দিয়েছিলাম। আজকে আমার আদরের সন্তান বান্দরবানে পাহাড়ে অর্ধ-মৃত অবস্থায়। আমি জানি না আমার সন্তান বেঁচে আছে কি না। জানি না কখনো তাকে আর দেখতে পারব কি না। এটা আমার মা হিসেবে চরম ব্যর্থতা। শিক্ষিত মেয়ে হয়ে আমি বুঝতে পারিনি। বুঝতে পারিনি কোনটা সঠিক কোনটা ভুল।’
এমিলি বলেন, ‘আমার কোরআন-হাদিসের দক্ষতা কম ছিল। আমাকে ও আমার রাইয়ানকে ডিমোটিভেটেড করা হয়েছে। ভুল পথে নেওয়া হয়েছে।’
ছেলের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আব্বু… তুমি যদি আমার মেসেজ পেয়ে থাক, তাহলে বলছি তুমি চরম ভুল পথে আছ। তুমি তোমার এই মাকে বিশ্বাস করতে পার। তোমার কাছে আমার অনুরোধ, তুমি যদি কখনো মাকে ভালোবেসে থাক, তাহলে দেশের জন্য কোনো ধরনের হুমকির কাজ করবে না, বিশৃঙ্খলা করবে না। আমি অনুরোধ করছি তুমি আত্মসমর্পণ কর। প্রশাসন সদয় হবে।’
জঙ্গিবাদ থেকে ফিরে আসা এমিলি ছেলেকে ফিরে পেতে প্রধানমন্ত্রী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সাংবাদিকদের কাছে আকুতি জানিয়েছেন। তিনি জানান, ছেলের শোকে তার স্বামীঅসুস্থ। আত্মীয়-স্বজন সবাই পাগলপ্রায়।