ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

সমাবেশের নামে সড়ক বন্ধ করে জনভোগান্তি কেন চায় বিএনপি : প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ১৬ নভেম্বর, ২০২২ ১৮:৪৩ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৩১৮ বার


সমাবেশের নামে সড়ক বন্ধ করে জনভোগান্তি কেন চায় বিএনপি : প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ১০ ডিসেম্বর সমাবেশের নামে রাজধানীর প্রধান সড়ক বন্ধ করে বিএনপি কেন জনভোগান্তি করতে চায়, তা বোধগম্য নয়। তিনি আজ দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। 
মন্ত্রী বলেন, ‘সমাবেশ করে কোনো রাজনৈতিক দলেরই জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা উচিত নয়। সেজন্য আমাদের নেত্রী আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী সবসময় জনগণের যাতে দুর্ভোগ না হয়, সে জন্য বন্ধের দিনে এবং খোলা মাঠে সমাবেশ করার বিষয়ে গুরুত্ব দেন। রাস্তা বন্ধ করে বিশেষ করে প্রধান সড়ক বন্ধ করে সমাবেশ করা নিয়ে সাংবাদিকরা সোচ্চার, সাধারণ মানুষও এটি চায় না।’ ড. হাছান বলেন, ‘আমি আশ্চর্য হয়ে দেখলাম যে নয়া পল্টনের প্রধান সড়কের ওপর বিএনপি সমাবেশ করতে চায়। সেটি ঢাকা শহরের প্রধান সড়ক। এর ওপর সমাবেশ করলে তো জনগণের ভোগান্তি হবেই। ঢাকা শহরে তো অনেক মাঠ আছে। সোহরাওয়ার্দী ময়দান, পূর্বাচলে বাণিজ্য মেলার মাঠ, আরো নানা মাঠ আছে। মাঠ বাদ দিয়ে তারা কেন ঢাকা শহরের প্রধান সড়কে সমাবেশ করতে চায়, সেটি আমার বোধগম্য নয়। এতে ভাংচুর করতে সুবিধা হয়। রাস্তায় দোকানপাট থাকে, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালাতে সুবিধা হয়। সেই উদ্দেশ্যে করেছে কি না আমি জানিনা।’ 
এদিকে ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার দিবস এ বিষয়টি সাংবাদিকরা তুলে ধরলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি হচ্ছে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী একটি দল। বিএনপির জন্মটাই অগণতান্ত্রিকভাবে এবং হত্যার মাধ্যমে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান হাজার হাজার সেনাসদস্যকে বিনা বিচারে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছে। অনেকের ফাঁসি কার্যকর করার পর বিচারের রায় হয়েছে, ‘দিজ আর ডকুমেন্টেড’। আমাদের দলের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। তার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি যথাযথ সম্মান রেখেই বলতে চাই, তিনিও কম যাননি। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, আমাদের সভা সমাবেশে হামলা -এগুলো বেগম জিয়ার আমলেই হয়েছে। তারা চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী বিধায়ই সেদিন তারা সমাবেশের তারিখ ঠিক করেছে কি না, সেটিই হচ্ছে প্রশ্ন।’ 
ভারতীয় অভিনেত্রী নোরা ফাতেহি’র বাংলাদেশে আসা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘তিনি একজন স্বনামধন্য অভিনেত্রী এবং আগামী কাতার বিশ্বকাপে ‘থিম সং’ এ পারফর্ম করবেন, এর আগে বিশ্বকাপ আসরগুলোতে যেমন শাকিরাসহ বিশ্ববরেণ্য তারকারা করেছেন। নোরা ফাতেহিকে একটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে এনে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ডকুমেন্টারি করতে চায়। সেটির জন্য আমরা অনুমতি দিয়েছি। এই ক্ষেত্রে ট্যাক্স আদায় বা ভ্যাট আদায় এগুলোর জন্য এনবিআর অবশ্যই তাদেরকে নোটিশ দিতে পারে। কিন্তু এনবিআর অনুষ্ঠান বন্ধ করার এখতিয়ার রাখে না। এনবিআর অবশ্যই ট্যাক্স ভ্যাট আদায় করার এখতিয়ার রাখে। কিন্তু সরকার অর্থাৎ মন্ত্রণালয় যেখানে অনুষ্ঠান করার অনুমতি দিয়েছে, সেখানে অনুষ্ঠান বন্ধ করার এখতিয়ার এনবিআর রাখে না।' 

 


এর আগে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতর প্রকাশিত ‘বাংলাদেশের পর্যটন’ (ট্যুরিজম অব বাংলাদেশ) বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন মন্ত্রী। মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতরের মহাপরিচালক স. ম. গোলাম কিবরিয়া এবং পরিচালক মোহাম্মদ আলী মোড়ক উন্মোচনে অংশ নেন। এ প্রসঙ্গে পর্যটন খাত বৈদেশিক মুদ্রার আহরক উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের পর্যটন খাতকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। সে ক্ষেত্রে এই প্রকাশনাটি বিশেষ গুরুত্ববহ। সচিব মো: হুমায়ুন কবীর খোন্দকার  গ্রন্থটি প্রকাশের জন্য চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরকে ধন্যবাদ জানান এবং এ ধরণের গুরুত্বপূর্ণ খাত চিহ্নিত করে সে সব বিষয়ে প্রকাশনা অব্যাহত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। 

 


   আরও সংবাদ