ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২১ নভেম্বর, ২০২২ ১৪:২০ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৪৪১ বার
ঢাকার আদালত চত্বর থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জেএমবি সদস্যকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় পাঁচ পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সোমবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার জসিম উদ্দিন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
আদালত প্রাঙ্গণে জঙ্গিকে ছিনিয়ে দায়িত্বে অবহেলার দায়ে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
বরখাস্ত হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন সিএমএম আদালতের হাজতখানার কোর্ট ইন্সপেক্টর মতিউর রহমান, হাজতখানার ইনচার্জ (এসআই) নাহিদুর রহমান ভূঁইয়া, আসামিদের আদালতে নেওয়ার দায়িত্ব পালনকারী পুলিশের এটিএসআই মহিউদ্দিন, কনেস্টেবল শরিফ হাসান ও আবদুস সাত্তার। এদিকে দুপুর সাড়ে ১২টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন-অর-রশীদ বলেন, জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা নজরদারিতে রয়েছেন। সবাইকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
তিনি বলেন, যেকোনো সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। আসামিরা যাতে পালাতে না পারে সেজন্য ইতোমধ্যে পুলিশ প্রধান রেড অ্যালার্ট জারি করেছে।
এর আগে, রোববার (২০ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার জজ আদালতের সামনে থেকে দুটি মোটরসাইকেলে করে চারজন লোক এসে পুলিশের চোখে স্প্রে করে দুই জঙ্গিতে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তারা প্রকাশক দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।
আসামিরা হলেন, সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার মাধবপুরের মইনুল হাসান শামীম এবং লালমনিরহাটের আদিতমারি উপজেলার ভেটেশ্বর গ্রামের আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব।
পালিয়ে যাওয়া জঙ্গিদের ধরিয়ে দিলে প্রত্যেকের জন্য ১০ লাখ করে ২০ লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর রাজধানীর শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটে জাগৃতি প্রকাশনীর কার্যালয়ে ফয়সল আরেফিন দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরে তার স্ত্রী শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় গত বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় ৮ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। তাদের মদ্যে আবু সিদ্দিক এবং মঈনুল ইসলামও রয়েছে।