ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর, ২০২২ ১৫:৫১ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৫৭৩ বার
চট্টগ্রামের ইপিজেড থানা এলাকা থেকে ৫ বছর বয়সী শিশু আলিনা ইসলাম আয়াত নিখোঁজের ১০ দিন পর দুজনকে আটক করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শ্বাসরোধে হত্যার পরে আয়াতের মরদেহ ৬ টুকরো করে সাগরে ফেলে দেওয়া হয়।
আজ শুক্রবার দুপুরে এ তথ্য জানান পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক ইলিয়াস খান।
পুলিশ জানায়, নিখোঁজের ১০ দিনের মাথায় আবির আলী নামের এক যুবককে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে এ নিখোঁজ রহস্য উদঘাটন করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
২৪ নভেম্বর রাতে সিপিজেডের আকমল আলী রোডের পকেট গেট এলাকা থেকে আয়াতদের বাড়ির সাবেক ভাড়াটিয়া আবির আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর রাতে হত্যার কারণ ও লাশ ছয় টুকরো করে সাগরপারে ফেলে দেওয়ার কথা স্বীকার করে নেয় ওই যুবক। ইপিজেডের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন আবির আলী৷
আজ দুপুরে ঘটনাস্থলে থাকা পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক ইলিয়াস খান বলেন, আবির আলী নামে সাবেক ভাড়াটিয়া মুক্তিপণের উদ্দেশ্যে ঘটনার দিন বিকেলে আয়াতকে অপহরণ করে। পরে আয়াত চিৎকার করলে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। আকমল আলী সড়কের বাসায় নিয়ে ছয় টুকরো করে। তারপর কাট্টলীর সাগরপাড়ে ফেলে দেয়। গ্রেফতারের পর আবির আলী সবকিছু স্বীকার করে নেয়।
তিনি বলেন, মরদেহ টুকরো করার কাজে ব্যবহার করা বটি ও অ্যান্টি কাটার উদ্ধার করা হয়েছে আবির আলীর বাসা থেকে। এখন আমরা লাশের টুকরোগুলো উদ্ধারে সাগরপাড়ে আছি।
গত ১৫ নভেম্বর চট্টগ্রামের ইপিজেড থানার বন্দরটিলার এলাকার নয়ারহাট বিদ্যুৎ অফিস এলাকার বাসা থেকে পার্শ্ববর্তী মসজিদে আরবি পড়তে যাওয়ার সময় নিখোঁজ হয় আলিনা ইসলাম আয়াত। এর পরদিন শিশুর বাবা সোহেল রানা এ ঘটনায় ইপিজেড থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করলেও কোনো হদিস মিলেনি। অবশেষে ৯ দিন পর শিশু আয়াতের নিখোঁজ রহস্যের জট খুললো।