ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর, ২০২২ ১২:৪৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৪২৪ বার
কোরআন পাঠের মধ্য দিয়ে রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে শনিবার সকাল ১০টা ২০ মিনিটে বিএনপির গণসমাবেশ শুরু হয়। এর ঠিক ১০ মিনিট পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার।
নয়াপল্টন এলাকায় নিরাপত্তা পরিস্থিতি পরিদর্শনে এসে তিনি বলেন, সমাবেশ শেষ করে বিএনপির কেউ নাশকতার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ঢাকা শহর ও নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশ অঙ্গিকারবদ্ধ। মানুষের জানমালের যেন ক্ষতি না হয়, সেজন্য ডিএমপির প্রতিটি সদস্য কাজ করছে।
পুলিশের প্রতিটি সদস্য সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলেও জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম কমিশনার।
এদিকে গোলাপবাগে সমাস্থলে নিরাপত্তা জোরদারে র্যাবের হেলিকপ্টার টহল চলছে। এ ছাড়া পুলিশ, আনসার, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ও বিভিন্ন সংস্থার গোয়েন্দা সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৩০ হাজার সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। রাজধানীজুড়ে যেকোনো সহিংসতা ও নাশকতা প্রতিরোধে দায়িত্ব পালন করছেন তারা।
উল্লেখ্য, ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরে সরকার ও বিএনপির মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। বিএনপি নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চাইলেও সরকারের পক্ষ থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বা যেকোনো মাঠে করার কথা বলা হয়। বিএনপি নয়াপল্টনেই সমাবেশ করতে অনড় অবস্থানে থাকে। এ নিয়ে বিতর্ক ও আলোচনার মধ্যেই বুধবার বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। এতে একজনের মৃত্যু এবং অনেকেই আহত হন।
এরপর বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাসহ অন্তত তিন শতাধিক কর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সংঘর্ষের পর থেকে এখনও নয়াপল্টন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
পরদিন বৃহস্পতিবার বিকেলে সমাবেশের স্থান নিয়ে ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের ফের বৈঠকে হয়। বৈঠকে বিএনপি কমলাপুর স্টেডিয়াম এবং ডিএমপির পক্ষ থেকে বাঙলা কলেজ মাঠের প্রস্তাব করা হয়। রাতেই বিএনপির পক্ষ থেকে এই দুই স্থানের যেকোনো একটির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণার কথা ছিল। কিন্তু শুক্রবার দুপুরে নতুন করে রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশের করতে চাইলে অনুমতি পায় বিএনপি।