ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারী, ২০২৩ ১০:৩৫ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৩৩২ বার
শীত ঋতুতে ঠাণ্ডা জনিত কারণে ইনফুয়েঞ্জার প্রকোপ বেশি হয়। এ রোগ দেখা দিলে রোগীর শরীরে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা যায়।
যেমন
১. ইনফুয়েঞ্জাকে ফুসফুসের রোগ হিসেবে ধরা হয়, তাই এ রোগ দেখা দিলে রোগীর শ্বাসকষ্ট বাড়ে।
২. শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়।
৩. হাঁচি এবং কাশির সম্যসা দেখা যায়।
৪. এ সময় সর্দি অনেক ঘন হয় এবং হলুদ ভাব দেখা যায়।
৫. কাশির পরিমাণ বেশি হয় এবং হলদেটে রং ধারণ করে।
ইনফুয়েঞ্জা সাধারণত ভাইরাসজনিত রোগ, তবে অনেক সময় ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণেও এ রোগ হয়ে থাকে। শীতে তাপমাত্রার তারতম্যের কারণে বাতাসে ভাইরাসের পরিমাণ বেড়ে যায়। এ কারণেই বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় শীতকালে এ রোগ বেশি দেখা দেয়।
সাধারণত নবজাতক, বৃদ্ধ, হাঁপানি রোগী এবং যারা ধূমপান করেন তারা এ রোগে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকেন। তবে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করলে এ রোগ থেকে কিছুটা রেহাই পাওয়া যায়। চিকিৎসকদের পরামর্শমতে নিচের সতর্কতাগুলো অনুসরণ করা যেতে পারে
১. শীতে ঠাণ্ডা এড়িয়ে চলার জন্য প্রয়োজনীয় গরম কাপড় পরিধান করতে হবে। কান ও গলা ঢেকে রাখার প্রয়োজনে অতিরিক্ত কাপড় ব্যবহার করা যেতে পারে।
২. প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা উচিত, এতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়।
৩. ধূমপান পরিহার করা এবং তামাকজাতীয় দ্রব্য এড়িয়ে চলা।
৪. বর্তমান সময়ে ইনফুয়েঞ্জার টিকা সহজলভ্য, তাই টিকা গ্রহণের মাধ্যমে এ রোগ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যেতে পারে।
৫. সর্দি হলে নাক পরিষ্কার করার পর হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। মধু, আদা, তুলসী পাতার রস, কালজিরা ইত্যাদি এ রোগের উপসর্গ কমাতে সহায়তা করে।
৬. এছাড়া প্রয়োজনীয় ওষুধ সেবন করতে হবে।