ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ফের চাঁদাবাজির অভিযোগ, গ্রেপ্তার ২

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩ ১০:১৬ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ২৮০ বার


ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ফের চাঁদাবাজির অভিযোগ, গ্রেপ্তার ২

সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসের আশপাশে বেশ কয়েকটি ছিনতাই ও চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটেছে। যার প্রত্যেকটির সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা 
জড়িত। 

এ নিয়ে গত রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) ঢাবিসহ বিভিন্ন ইউনিট ছাত্রলীগের ২২ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। 

এর একদিনের মাথায় আবারও চাঁদাবাজির 
অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন সোহাগের বিরুদ্ধে। এবার সোহাগ ও তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা 
দাবির অভিযোগ আনা হয়েছে।  

ভুক্তভোগী নাজমুল হোসাইন (২৮) শেরে বাংলা নগর থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলায় সোহাগ ছাড়াও ভুবন (৩০), নাহিদ (৩০) এবং কামাল 
উসমানকে (৩২) আসামি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ভুবন ও নাহিদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদেরকে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। 

মামলার ১ নম্বর আসামি আব্দুল্লাহ আল মামুন সোহাগের পরিচয় মিললেও বাকিদের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। 

আব্দুল্লাহ আল মামুন সোহাগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী। সে কবি জসীম উদ্দিন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। বর্তমানে 
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহি কমিটির সহসম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। সে ছাত্রলীগ সভাপতি শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের অনুসারি।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ১নং বিবাদী (আব্দুল্লাহ আল মামুন সোহাগ) প্রায় সময়ে আমার নিকট চাঁদা দাবি করত। গত ৭ ফেব্রুয়ারি মোবাইল ফোনের 
মাধ্যমে আমার নিকট পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি চাঁদার টাকা নিতে রাজি না হলে বিবাদীসহ ১১ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) রাত ১২টা ১৫ মিনিটে 
একটি গাড়ি নিয়ে আমার বাসায় অনধিকার প্রবেশ করে। বিবাদীরা দাবীকৃত টাকা দিতে বলে। টাকা দিতে না পারায় আমাকে কিল, ঘুষি মারতে থাকে। 

এ সময় আমার খালা শামসুন্নাহার বেগম (৫৮) এগিয়ে এলে ২নং বিবাদীর কাছে থাকা একটি খুর বের করে খালাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এতে খালার 
পরনের মেক্সি ছিড়ে যায় এবং হাত ও মাথায় জখম হয়। খালাত ভাই মো. তহিদুল ইসলাম এগিয়ে এলে বিবাদীরা ভাইকেও মারধর করে। আমাদের 
চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে বিবাদীরা আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায়। 

 

অভিযোগের বিষয়ে মামলার ১নং আসামি আব্দুল্লাহ আল মামুন সোহাগকে একাধিকবার কল করা হলেও পাওয়া যায়নি। 

শেরে বাংলা নগর থানার এসআই মনির (তদন্ত কর্মকর্তা) বলেন, মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই আসামি ভুবন ও নাহিদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 
তাদেরকে জিজ্ঞাবাদের জন্য রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।


   আরও সংবাদ