ঢাকা, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

সরকার গঠনের প্রশ্ন এলো, আমরা হোঁচট খেলাম : মেনন

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩ ০৯:৩৭ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ২৬৪ বার


সরকার গঠনের প্রশ্ন এলো, আমরা হোঁচট খেলাম : মেনন

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, আপনারা (আওয়ামী লীগ) আমাদের বলেছিলেন, এক সঙ্গে আন্দোলন, একসঙ্গে নির্বাচন, একসঙ্গে সরকার। আমাদের কোনও দাবি ছিল না। আপনারাই বলেছিলেন, একসঙ্গে আন্দোলন করেছি, নির্বাচনও করেছি। কিন্তু যখন সরকার গঠনের প্রশ্ন এলো, আমরা হোঁচট খেলাম। তারপরও আমরা পিছিয়ে থাকিনি। সেই ঐক্যকে চোখের মনির মতো রক্ষা করেছি।

 

শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 

মেনন আরও বলেন, অত্যন্ত র্দুভাগ্যজনক অভিজ্ঞতা আমাদের রয়েছে। ২০১৪ সালে যেসব সিট হাতুড়ি নিয়ে নির্বাচন করেছিলাম। ২০১৮ সালে ওই সিট আমাদের ভাগে এসেছিল। কিন্তু আমাদের বলা হলো, নৌকা নিয়ে নির্বাচন করুন। কিন্তু নির্বাচন করতে গিয়ে দেখলাম নৌকার মাঝিরাই নৌকার বিরুদ্ধে ভোট দিচ্ছে। যেখানে জাতীয় পার্টিকে জিতিয়েছে। সাম্প্রদায়িক বিভক্তি করেছে। এই নগ্ন খেলা আর যাইহোক জোটের রাজনীতি হতে পারে না।

 

তিনি বলেন, আপনারা (আওয়ামী লীগ) ভুলে গেছেন। আপনাদের পাশে যখন কেউ ছিলো না। তখন ছিল ১৪ দল আর ওয়ার্কার্স পাটি। আবারও সেই নির্বাচনের প্রশ্ন। এই রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রী কিছুদিন আগে জনসভা করে গেছেন। ভোট চেয়েছেন। কার ভোট। নৌকায় ভোট চেয়েছেন। ঠিকই আছে। তিনি আওয়ামী লীগের সভানেত্রী। তিনি নৌকায় ভোট চাইতেই পারেন। কিন্তু তিনি একই সঙ্গে ১৪ দলেরও নেত্রী। তিনি ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, ১৪ দল একত্রে নির্বাচন করবেন। সভা করে তিনি এই কথা বলেছেন। কিন্তু ভোট চাইবার বেলায় ‘নৌকা’, ‘হাতুড়ির’ কোনও জায়গা নাই। ভোট চাইবার বেলায় ‘নৌকা’, মশালের কোনও জায়গা নাই। ভোট চাইবার বেলায় ‘নৌকা’, সেখানে কোরালের কোনও জায়গা নাই। তাহলে হলো!

 

ওয়ার্কার্স পার্টির দলীয় প্রধান আরও বলেন, এখনো আমরা মনে করি, ১৪ দল প্রাসঙ্গিক। আমাদের সামনে শত্রু বিভীষণ। কারণ বিএনপি-জামায়াত ষড়যন্ত্র করছে। সুতরাং আমাদের নতুন রাজনীতি, নতুনভাবে গড়তে হবে। এর কোনও বিকল্প সামনে নাই। নির্বাচন আসছে। নির্বাচন করবো। আমরা জামায়াত-হেফাজত মৌলবাদী শক্তিকে মোকাবিলা করেই অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছি। বাংলাদেশ উন্নয়নের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। উন্নয়ন তো হয়েছেই। কিন্তু বৈষম্যও বেড়েছে। বঙ্গবন্ধু বলতেন, আমরা এমন দেশ চাই না, যেখানে বৈষম্য থাকবে। কিন্তু আজ দেশের সিংহভাগ সম্পদ ৫ শতাংশ মানুষের হাতে। আজ গরিবের উন্নয়ন হয়নি। উদ্যোক্তাদের উন্নয়ন হয়নি। উন্নয়ন হয়েছে ধনীক শ্রেণির। ১ নভেম্বর মাসেই ইসলামি ব্যাংক থেকে ৯ হাজার কোটি টাকা তুলে নিয়ে গেছে ১টি প্রতিষ্ঠানই। আজ আমাদের মেট্রোরেল, পদ্মাসেতু, কর্ণফুলী টানেল হয়েছে। কিন্তু আমার দেশের টাকা দেশে আর থাকছে না।


   আরও সংবাদ