ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

অর্ধশতাধিক নারীর নামে ফেক আইডি খুলে ব্ল্যাকমেইল করতেন যুবক

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ১০ মার্চ, ২০২৩ ১০:১৯ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৪০৫ বার


অর্ধশতাধিক নারীর নামে ফেক আইডি খুলে ব্ল্যাকমেইল করতেন যুবক

চট্টগ্রাম মহানগরের ইপিজেড থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে অর্ধশতাধিক ফেক ফেসবুক আইডি খুলে ব্ল্যাকমেইলের অপরাধে আল মাসুম (৩০) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম বিভাগের সাইবার ক্রাইম ইউনিট অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।

 

এ সময় তার কাছ থেকে তিনটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। তার বিরুদ্ধে নগরের ইপিজেড থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আল মাসুম নগরের ইপিজেড থানাধীন দক্ষিণ হালিশহরের আবদুল আজিজ সড়কের বাছুর আলী সওদাগর বাড়ির আবু বক্করের সন্তান।

 

কাউন্টার টেররিজম ইউনিট চট্টগ্রামের অতিরিক্ত উপকমিশনার আসিফ মহিউদ্দীন বলেন, গ্রেফতার মাসুমের কাছ থেকে জব্দকৃত ডিভাইসগুলো প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা করে এ ঘটনা সংশ্লিষ্ট ডিজিটাল আলামত পাওয়া গেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, গত ৭-৮ মাস ধরে বিভিন্ন সময় ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের নারীদের অনুমতি ব্যতীত তাদের পরিচিতি তথ্য, ছবি সংগ্রহ ও ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিকটিমদের ক্ষতি সাধনের উদ্দেশ্যে ফেক আইডি খুলে নারীদের ছবি ব্যবহার করে অশ্লীল-আপত্তিকর ক্যাপশন সহকারে পোস্ট দিয়ে সামাজিক মর্যাদাহানিকর তথ্য প্রকাশ করে।

 

তাছাড়া ভুক্তভোগী নারীদের ব্যবহৃত ফেসবুক আইডির মেসেঞ্জারে ভিকটিমদের নগ্ন ছবি প্রেরণসহ নগ্ন অবস্থায় তার সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলতে বাধ্য করে ভীতি প্রদর্শক মেসেজ পাঠানোর কথা স্বীকার করে। তার টার্গেট ছিল স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা। সে দীর্ঘদিন ধরে এমন অপকর্ম করে আসছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

 

কাউন্টার টেররিজম বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সাম্প্রতিককালে চট্টগ্রাম মহানগরের বিভিন্ন থানা এলাকার নারী ভিকটিমরা কাউন্টার টেররিজম বিভাগের সাইবার ইউনিটে অভিযোগ করেন যে, অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা অনুমতি ব্যতীত তাদের পরিচিতি তথ্য, ছবি সংগ্রহ ও ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ফেক আইডি খুলে অশ্লীল-আপত্তিকর ক্যাপশন সহকারে পোস্ট দিত। পরে ভিকটিমদের ব্যবহৃত ফেসবুক আইডি এবং তাদের ফ্রেন্ডলিস্টের অন্যান্য সদস্যদের মেসেঞ্জারে অশালীন মেসেজ দিত। সে ভিকটিমদের অশালীন ছবি এবং নগ্ন ভিডিও প্রদান করার কুপ্রস্তাব দিয়ে মানসিকভাবে হেনস্তা করে আসছিল।

 

এমন ঘটনার শিকার হয়ে অনেকে বিভিন্ন থানায় সাধারণ ডায়েরি করার পাশাপাশি পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন পেজে অভিযোগ করেন। পরে প্রযুক্তিগত সহায়তায় অভিযুক্তকে শনাক্ত করা হয়। বৃহস্পতিবার অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়।


   আরও সংবাদ