ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল, ২০২৩ ২২:৪১ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ২৩২ বার
আওয়ামী লীগকে অগ্নিসন্ত্রাসের হোতা আখ্যা দিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আসলে আওয়ামী লীগ ’৭২ থেকে ’৭৫ সালেও তিন বছর দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করেছিল। তারা সে সময় একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছিল। তারা অগ্নিসন্ত্রাসের হোতা। তারা বাংলাদেশকে আবারও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়।’
আজ শনিবার বিকেলে আয়োজিত এক সভায় এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। রাজধানীর লেডিস ক্লাবে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের (জেডআরএফ) উদ্যোগে এ দোয়া ও ইফতার মাহফিল এবং বার্ষিক সাধারণ সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও জেডআরএফের প্রেসিডেন্ট তারেক রহমান।
ইফতারের আগে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ পিছিয়ে যাচ্ছে। জিয়াউর রহমান দেশের অর্থনীতি যখন সচল করেছিলেন। দেশের মানুষ যখন পায়ে দাঁড়াচ্ছিল, তখন আওয়ামী লীগ জোর করে ক্ষমতা দখল করেছে।’
তিনি বলেন, ‘আজও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জোর করে ক্ষমতা দখল করেছে। তারা আমাদের সবসময় বলেন, আমরা নাকি মিথ্যা কথা বলি। তিনি আজও দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলে দিলেন যে, এসব আগুন লাগার ঘটনায় বিএনপি জড়িত কিনা, তা খতিয়ে দেখতে হবে। তিনি তদন্তের আগেই বলে দিলেন। তার মানে তদন্তটা সেভাবেই করতে হবে। এভাবে তারা বিএনপিকে টার্গেট করছে।’
বিএনপির মহাসচিব পেশাজীবী নেতাদের উদ্দেশে বলেন, ‘আজ সব দেশপ্রেমিক জনতাকে ফের ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে। বিএনপি ঘোষিত ১০ দফার মাধ্যমে এ সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করাতে হবে। কেননা তারা রাষ্ট্রকে ভেঙে ফেলেছে প্রায়। সেজন্য তারেক রহমান ২৭ দফা ঘোষণা করেছেন। এর মাধ্যমে রাষ্ট্রকে সংস্কার করতে হবে। জনগণের অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটানো হবে। এরপরই আমাদের জিয়াউর রহমানের স্বপ্নের বাংলাদেশ ফিরিয়ে আনতে হবে।
জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের প্রশংসা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মানবসেবায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে জেডআরএফ। বিশেষ করে করোনাকালে যেভাবে সহায়তা করেছে, তা নজিরবিহীন।’
জেডআরএফের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে ও ইফতার আয়োজন কমিটির আহ্বায়ক কাদের গণি চৌধুরী ও সদস্যসচিব ডা. এ কে এম মাসুদ আক্তার জীতুর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ঢাবির সাবেক প্রো-ভিসি অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, সাবেক কেবিনেট সচিব এ এস এম আব্দুল হালিম, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল হাই শিকদার, ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ, এ্যাবের সভাপতি প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, ইউট্যাবের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, ঢাবি সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর রহমান, সংস্কৃতি চর্চা পরিষদের সভাপতি আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জল প্রমুখ। অনুষ্ঠানে দোয়া পরিচালনা করেন অধ্যাপক ডক্টর মোহাম্মদ ছবিরুল ইসলাম হাওলাদার।
মঞ্চে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ড্যাবের সাবেক সভাপতি ডা. এ কে এম আজিজুল হক, ইউট্যাবের মহাসচিব অধ্যাপক ড. মো. মোর্শেদ হাসান খান, ঢাবি সাদা দলের অধ্যাপক ড আবদুর রশিদ, ড. আল মোজাদ্দেদী আলফেসানী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামসুল আলম সেলিম, শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া, ড্যাবের মহাসচিব ডা. মো. আবদুস সালাম, জেডআরএফের ডা. এ এইচ এস হায়দার পারভেজ, অধ্যাপক ড. আবদুল করিম, ডা. শাহ মুহাম্মদ আমান উল্লাহ, ডা. পারভেজ রেজা কাকন, অধ্যাপক ড. মো. কামরুল আহসান, অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাত মোহাম্মদ শামীম, প্রকৌশলী মাহবুব আলম, এগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ড. জি কে এম মোস্তাফিজুর রহমান ও কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম।
ইফতার মাহফিলে পেশাজীবী নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কামাল উদ্দিন সবুজ, আমিরুল ইসলাম কাগজী, মুরসালিন নুমানী, মো. খুরশিদ আলম, বাছির জামাল, তৌহিদুল ইসলাম মিন্টু, জিয়া পরিষদের ডা. মো. আবদুল কুদ্দুস, বিএনপির ডা. সিরাজুদ্দিন আহমেদ, বিজন কান্তি সরকার, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, প্রকৌশলী খালিদ হাসান পাহিন, ডা. রফিকুল ইসলাম, তাইফুল ইসলাম টিপু, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, আনোয়ার হোসাইন, ডা. রফিকুল কবির লাবু, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, খান মো. মনোয়ারুল ইসলাম শিমুল, এ্যাবের প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুল, প্রকৌশলী মো. মোস্তাফা-ই-জামান সেলিম (সিআইপি), প্রকৌশলী এ কে এম আসাদুজ্জামান চুন্নু, প্রকৌশলী আফজাল হোসেন সবুজ, প্রকৌশলী আইয়ুব হোসেন মুকুল, ড্যাবের ডা. এম এ সেলিম, ডা. মোসাদ্দেক হোসেন বিশ্বাস ডাম্বেল, ডা. মো. কামরুল হাসান, ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, ডা. মো. মেহেদী হাসান, ডা. মোস্তফা আজিজ সুমন, ডা. সৈয়দা তাজনিন ওয়ারিস সিমকী, প্রকৌশলী অধ্যাপক সাব্বির মোস্তফা খান, ডা. সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম, কৃষিবিদ শফিউল আলম দিদার, সানোয়ার আলমসহ জেডআরএফের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, মনিটরসহ বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা।