ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর, ২০২৪ ০৯:৫০ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৪ বার
‘চট্টগ্রামে সাইফুল ইসলাম আলিফ নামে এক আইনজীবী হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ক্ষোভ জানিয়ে এবং গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে দেশবাসীকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রক্ষা ও এ বিষয়ে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া ‘হত্যাকান্ডকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার না করে হত্যার সঙ্গে জড়িত প্রকৃত অপরাধিদের দ্রæত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বলেছেন, আইনজীবী হত্যা দেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ কিনা তা তদন্ত করে উদঘাটন করতে হবে।’
তারা বলেন, ‘ইসকন ও সম্মিলিত সনাতন জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় দাসকে গ্রেফতার ও জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে তার অনুসারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের এক পর্যায়ে এডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এছাড়া আদালত ও আশপাশের এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা হয়। মসজিদের মুসল্লিসহ পথচারীদের আক্রমণ ও হামলার টার্গেট করা হয়। যা দেশ-জাতি ও রাষ্ট্রের জন্য প্রচ্ছন্ন হুমকি।’
নেতৃদ্বয় বলেন, ‘যদিও ৮ নভেম্বর একটি সংবাদ সম্মেলনে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে ইসকনের যাবতীয় কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেয়ার তথ্য জানিয়েছিল সংগঠনটি। কিন্তু, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের আটকের বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপ চেয়ে বিবৃতি দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনশাসনেস (ইসকন)। তিনি 'বাংলাদেশে ইসকনের গুরুত্বপূর্ণ নেতা' উল্লেখ করে তাকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রমান করেছে বাংলাদেশের ইসকনের দেয়া তথ্য সত্য নয়। তারা শুধু নিজেদের অপরাধ আড়াল করতেই মিথ্যা তথ্য প্রদান করেছেন।’
তারা বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের পতনের পর অবাধ গণতন্ত্রের সুযোগে দেশের ভেতরের বিভিন্ন অপশক্তি এবং বাইরের ষড়যন্ত্রকারীরা সম্মিলিতভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে। যখন দেশের জনগণের অভিপ্রায় অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনার প্রশ্নে সংবিধান সংস্কার, প্রশাসনিক সংস্কার, পুলিশ সংস্কারসহ সকল ক্ষেত্রে মৌলিক পরিবর্তনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র বিনির্মাণের সম্ভাবনা সৃষ্টি হচ্ছে- তখন সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে অপশক্তির বিরুদ্ধে।’
নেতৃদ্বয় বলেন, ‘৫ আগস্টের পর সুযোগ এসেছে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের জন্য একটি পরিবর্তন নিয়ে আসার। কিন্তু, দু:খজনক হলেও সত্য যে, মাত্র তিন মাসের মাথায় রাস্তায় রাস্তায় লড়াই শুরু হয়ে গেছে। ফ্যাসীবাদী শক্তির পতনের লক্ষে যারা শাহাদাত বরণ করলো তারা কি এই বাংলাদেশ চেয়েছে ? অশুভ শক্তির পতনের তিন মাস হয়নি অথচ একজন আরেকজনের রক্ত ঝরাচ্ছে। পত্রিকা অফিস পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে, আহালে হাদিস-সালাফি নামক উগ্র ধর্মীয় গোষ্টি মাজার, দরবার, দরগায় আক্রমণ করছে। এসব কিসের লক্ষন ? এসব লক্ষন শুভ নয়।’
তারা বলেন, ‘ধর্মকে কেন্দ্র করে কি উন্মাদনা সৃষ্টি করে আসলে বাংলাদেশকে কোথায় নিয়ে যেতে চাচ্ছে ষড়যন্ত্রকারীরা ? বাংলাদেশের হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যারা নষ্ট করতে চাচ্ছে তারা দেশ-সমাজ ও রাষ্ট্রের শত্রæ। ধর্মীয় লেবাসে তারা দেশ জাতিতে বিভক্ত করে দিতে চাচ্ছে। দরবারে হামলা, মত ভিন্নতার কারণে অন্যের মাহফিল বন্ধ করে দেয়া কোন শুভ লক্ষন নয়। এসকল অতি উগ্রবাদী ও উম্মাদ গোষ্টির বিরুদ্ধে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে।’