ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

সালাউদ্দিনকে বহিষ্কার করল ক্রীড়া লেখক সমিতি

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ৪ মে, ২০২৩ ০৯:০৯ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৫৪৭ বার


সালাউদ্দিনকে বহিষ্কার করল ক্রীড়া লেখক সমিতি

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন ও বাফুফে সহ সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ সাংবাদিকদের নিয়ে সম্প্রতি যেসব আপত্তিকর ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন, বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএসপিএ) এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে।

 

সাংবাদিকদের ওপর কতটা বিদ্বেষ, সেটা প্রকাশ পেয়েছে তাদের কথা-বার্তায়।

 

২০১২ সালে বাফুফে সভাপতি পদে বসার পর কাজী সালাউদ্দিনকে সম্মানসূচক অনারারি সদস্য পদ দেয় বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএসপিএ)। গতকাল (মঙ্গলবার) সাংবাদিকদের নিয়ে আপত্তিকর কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের কারণে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনকে অনানারি সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করেছে সংগঠনটি। এদিন সংস্থাটির কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরি সভায় সালাউদ্দিনের এই সদস্য পদ বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়।

 

দেশের ক্রীড়া সংবাদিকদের অন্যতম শীর্ষ সংগঠন বিএসপিএ বিবৃতিতে লিখেছে, ‘বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন ও বাফুফে সহ-সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ ক্রীড়া সাংবাদিকদের নিয়ে সম্প্রতি যেসব আপত্তিকর ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন, বিএসপিএ এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছে। সাংবাদিকদের ওপর তাদের কতটা বিদ্বেষ, সেটা প্রকাশ পেয়েছে তাদের কথা বর্তায়। তারা শুধু সাংবাদিকদের নয়, তাদের পরিবার এমনকি সাংবাদিকদের মা-বাবাকে পর্যন্ত কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। এটা পুরো সাংবাদিক সমাজকে ভীষণভাবে আহত করেছে।’

 

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, 'বর্তমান প্রেক্ষাপটে তার আচরণ, বক্তব্য সব কিছুই ঐতিহ্যবাহী ক্রীড়া সাংবাদিক সংগঠনের মতাদর্শের পরিপন্থি। তার কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য ক্রীড়া সাংবাদিকদের আত্মসম্মানে আঘাত হেনেছে। তাই ক্রীড়া লেখক সমিতি কার্যনির্বাহী কমিটি জরুরি সভা করে কাজী সালাউদ্দিনের অনারারি সদস্য পদ বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কাজী সালাউদ্দিনের বহিষ্কারাদেশের পাশাপাশি সহ-সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদের বক্তব্যেরও নিন্দা জ্ঞাপন করেছে এই সংগঠনটি।

 

এর আগে ৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশের ৫০ বছরের ইতিহাসে সেরা ক্রীড়াবিদ নির্বাচন করেছিল ক্রীড়া লেখক সমিতি। বাংলাদেশ ক্রিকেটের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান সেই তালিকায় প্রথম ও কাজী সালাউদ্দিন দ্বিতীয় হয়েছিলেন। কাজী সালাউদ্দিন দ্বিতীয় হওয়ায় বাফুফের পক্ষ থেকে সেই পুরস্কার প্রত্যাহার করেছিল। এ নিয়ে সেই সময় অনেক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছিল।


   আরও সংবাদ