ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৫ জুন, ২০২৩ ০৮:২২ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৫৯৪ বার
দেশে গত চার বছরে ৩৭৮টি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের রক্তপরিসঞ্চালন কেন্দ্রে (ব্লাড ব্যাংক) ৩৩ লাখ ৩৬ হাজার ৬১৮ জনের রক্ত পরিসঞ্চালন করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৮৯ জনের দেহে প্রাণঘাতী এইচআইভি এইডস ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
বুধবার (১৪ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সেফ ব্লাড ট্রান্সফিউশন প্রোগ্রাম সংশ্লিষ্টরা এ তথ্য জানান।
রক্তগ্রহীতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রক্তদানের আগে পাঁচটি পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। কিন্তু মাঠপর্যায়ে এর কোনো প্রয়োগ নেই। পরীক্ষা ছাড়া রক্ত গ্রহণে হেপাটাইটিস বি, হেপাটাইটিস সি, এইডসসহ নানা ধরনের প্রাণঘাতী রোগে সংক্রমিত হওয়ায় ঝুঁকি থাকে। ফলে নিরাপত্তাহীনতায় রক্তগ্রহীতারা।
দেশে প্রতিবছর প্রায় ৮-১০ লাখ ব্যাগ রক্ত ও রক্ত উপাদানের চাহিদা রয়েছে। এই রক্ত চাহিদার একটা বড় অংশের প্রয়োজন পড়ে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগীদের জন্য। একজন থ্যালাসেমিয়া রোগীর প্রতি মাসে এক থেকে তিন ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন হয়।
থ্যালাসেমিয়া ছাড়াও রক্তস্বল্পতা, প্রসূতির রক্তক্ষরণ, অগ্নিদগ্ধ রোগী, বড় অপারেশন, দুর্ঘটনা ইত্যাদি নানা কারণে রক্তের প্রয়োজন হয়। রক্তের এ চাহিদা পূরণে নতুন স্বেচ্ছায় রক্তদাতার কোনো বিকল্প নেই। সাধারণত ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী যে কোনো শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ সক্ষম ব্যক্তি প্রতি চার মাস পরপর রক্ত দিতে পারেন।
এমন পরিস্থিতিতে রক্তদান ও গ্রহণে জনসচেতনতা তৈরিতে সারা বিশ্বের মতো আজ দেশে পালিত হচ্ছে বিশ্ব রক্তদাতা দিবস-২০২৩। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে—‘সেভ ব্লাড, গিভ প্লাজমা, শেয়ার লাইফ শেয়ার অফেন’ অর্থাৎ ‘রক্ত দান করুন, দান করুন প্লাজমা, যতবার সম্ভব গ্রহণ করুন জীবন বাঁচানোর এ অনন্য সুযোগ’।
রক্তরোগ বিশেষজ্ঞরা জানান, সরকারি হাসপাতালের বাইরে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, কোয়ান্টাম, সন্ধানী, বাঁধন, থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সমিতিসহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অনুমোদিত ১৭২টি বৈধ বেসরকারি ব্লাড ব্যাংক রয়েছে। এর বাইরে সারা দেশে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে ওঠা অসংখ্য অনিবন্ধিত ব্লাড ব্যাংক ও প্লাজমা সেন্টার আছে।
এসব জায়গা থেকে রক্ত নেওয়া নিরাপদ নয়। তারা অসহায় রোগীদের ফাঁদে ফেলে ‘লাল রক্তের কালো ব্যবসা’ করছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর নজরদারির অভাবে ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকছে। সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অভিযানেও একাধিক অবৈধ ব্লাড ব্যাংক সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। এসব কেন্দ্রের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের রক্তবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ছে।
রক্তরোগ বিশেষজ্ঞরা আরও বলেন, দেশে রক্ত চাহিদার একটা বড় অংশ প্রয়োজন হয় থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জন্য।
হেমাটোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশ সূত্র মতে, দেশে থ্যালাসেমিয়া রোগীর সংখ্যা প্রায় ৮০ হাজার। থ্যালাসেমিয়ার বাহক রয়েছে ১ কোটি ৭০ লাখের অধিক মানুষ। দিন দিন এ সংখ্যা বাড়ছে।
একজন থ্যালাসেমিয়া রোগীর প্রতি মাসে এক থেকে তিন ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন হয়। থ্যালাসেমিয়া ছাড়াও রক্তস্বল্পতা, প্রসূতির রক্তক্ষরণ, অগ্নিদগ্ধ রোগী, বড় অপারেশন, দুর্ঘটনা ইত্যাদি নানা কারণে রক্তের প্রয়োজন হয়।
রক্তের এ চাহিদা পূরণে নতুন স্বেচ্ছায় রক্তদাতার কোনো বিকল্প নেই। সাধারণত ১৮-৬০ বছর বয়সী যে কোনো শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ সক্ষম ব্যক্তি প্রতি চার মাস পরপর রক্ত দিতে পারেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক. ডা. আসাদুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে ঘাটতি পূরণ ও অনিরাপদ রক্তের ব্যবহার বন্ধ করতে বর্তমানের চেয়ে বছরে মাত্র ৫ লাখ ব্যাগ অতিরিক্ত সংগ্রহ করতে হবে। বাংলাদেশের প্রায় ১৭ কোটি জনসংখ্যার তুলনায় রক্তের চাহিদা প্রতিবছর প্রায় ১৪ লাখ ইউনিট। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, রক্তদাতার সংখ্যা খুব সামান্য। ৬-৭ লাখ লোক যদি বছরে দুবার অন্তত রক্তদান করে তাহলেই এ ঘাটতি পূরণ হয়ে যাবে। দেশে একক রক্তদাতার সংখ্যা বেশি থাকলেও ব