ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৭ জুলাই, ২০২৩ ১৪:৩০ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৩২০ বার
সমবায় অধিদপ্তরে ক্লার্কসহ কয়েকটি পদে পদোন্নতিতে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। জনপ্রতি ৪ থেকে ৭ লাখ টাকা ঘুষ লেনদেনের এমন অভিযোগ খতিয়ে দেখতে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযানে প্রাথমিক কিছু সত্যতাও পাওয়া গেছে।
সোমবার (১৭ জুলাই) অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক।
তিনি বলেন, সমবায় অধিদপ্তরের পদোন্নতি কমিটির বিরুদ্ধে অধিদপ্তরের নিয়োগ বিধিমালা অনুসরণ না করে পদোন্নতি প্রদানে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় অভিযোগ সংশ্লিষ্ট প্রয়োজনীয় কিছু রেকর্ডপত্রও সংগ্রহ করা হয়েছে। সকল নথিপত্র যাচাই-বাছাই শেষে টিম কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করলে প্রকৃত সত্য জানা যাবে।
অভিযোগের বিষয়ে দুদক সূত্রে জানা যায়, সমবায় অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা অনুযায়ী জানুয়ারিতে অফিস সহায়ক থেকে অফিস সহকারী (ক্লার্ক) পদে পদোন্নতির পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেয় ৩৩১ জন। ফল প্রকাশের পর দেখা যায়, তাদের মধ্যে মাত্র একজন পাশ করেছেন। গত ১৮ জানুয়ারি পদোন্নতি কমিটি পরীক্ষার ফলাফলসহ রেজুলেশন করে উত্তীর্ণ প্রার্থীর অনুকূলে আদেশ জারির সিদ্ধান্ত দেয়। কিন্তু অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. তরুণ কান্তি শিকদার দীর্ঘদিন ফাইলটি আটকে রাখেন। তিনি ওই কর্মচারীর পদোন্নতির আদেশ জারি না করে ‘আলোচনা করুন’ লিখে ফাইলটি ফেরত দেন। পরবর্তী সময়ে ৬ জুন উত্তীর্ণ একমাত্র প্রার্থীর পদোন্নতির আদেশ জারি করা হয়। ওই আদেশে তারিখ দেওয়া হয় ১৩ এপ্রিল ২০২৩। এর পাশাপাশি ফেল করা সবার পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার আদেশ দেন। ১৭ ও ১৮ জুলাই পরীক্ষার দিন ঠিক করে নোটিশ দেওয়া হয়।
সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, এটা সমবায় অধিদপ্তরের নিয়োগ বিধিমালা ২০১০-এর পরিপন্থি। এই বিধিমালার তফশিল (৪৪নং ক্রমিক) অনুযায়ী যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে সরাসরি নিয়োগের নিয়ম রয়েছে। প্রায় তিন বছর ধরে অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ পদশূন্য। যোগ্য প্রার্থী থাকার পরও এসব পদে পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে না। সমবায় অধিদপ্তরে নিয়োগ, বদলি ও পদোন্নতি বাণিজ্যে ‘পঞ্চপাণ্ডব’সিন্ডিকেট রয়েছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। যার পেছনে থেকে কলকাঠি নাড়েন এক মন্ত্রীর ছেলে। তার ‘কালেক্টর হিসেবে আছেন অধিদপ্তরের বহুল আলোচিত প্রশাসনিক কর্মকর্তা বাবলা দাশগুপ্ত। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির পৃথক অনুসন্ধান দুদকে চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে।