আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ জুলাই, ২০২৩ ০৮:৪৩ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ১৪৫ বার
ইউক্রেন বন্দরগামী জাহাজগুলোকে সামরিক লক্ষ্য হিসেবে বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছে রাশিয়া। এর পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক বাজারে গমের দাম বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বুধবার ইউরোপিয়ান স্টক এক্সচেঞ্জে প্রতি টন গমের দাম মঙ্গলবারের চেয়ে ৮ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে বিক্রি হয়েছে ২৮৪ ডলারে। আর ভুট্টার দাম বেড়েছে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রের ফিউচার মার্কেটে বুধবার গমের দাম বেড়েছে সাড়ে ৮ শতাংশ, যা ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর সর্বোচ্চ দৈনিক বৃদ্ধি।
শর্ত পূরণ না হওয়ার অজুহাতে গত সোমবার কৃষ্ণসাগর শস্যচুক্তি বাতিল করেছে মস্কো। এরপর থেকেই ওডেসাসহ অন্যান্য শহরে ইউক্রেনের শস্যকেন্দ্রে রাশিয়া বোমাবর্ষণ করেছে।
অন্যদিকে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র অ্যাডাম হজ বলছেন, বেসামরিক জাহাজে আঘাত ও ইউক্রেনকে দোষারোপ করার পরিকল্পনা করছে রাশিয়া। রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে শস্য রপ্তানি অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করার এবং অস্থিতিশীল দেশগুলোকে ঝুঁকিতে ফেলার অভিযোগ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। দেশটির কৃষিমন্ত্রী মাইকোলা সোলস্কি বলেছেন, ওডেসা বন্দরে রাশিয়ার হামলায় ৬০ হাজার টন শস্য ধ্বংস হয়ে গেছে। সেইসঙ্গে শস্য রপ্তানি অবকাঠামোর উল্লেখযোগ্য অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মূলত শস্য চুক্তি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মঙ্গলবার ভোরে ইউক্রেনের বন্দরগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা শুরু করে রাশিয়া। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের অভিযোগ, শস্য চুক্তিকে পশ্চিমা দেশগুলো ‘রাজনৈতিক ব্ল্যাকমেইল’ হিসেবে ব্যবহার করছে।
রেলপথে শস্য রপ্তানির সুযোগ সীমিত। দেশটিতে রেলে পরিবহনের সক্ষমতা সমুদ্রপথের তুলনায় কম। আবার ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত বেশ কয়েকটি দেশ নিজেদের কৃষকদের সুরক্ষা দিতে ইউক্রেনের শস্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে। ম্যারেক্স ক্যাপিটাল বিশ্লেষক চার্লি সারনাটিঙ্গার বলেছেন, চলমান যুদ্ধে এ ধরনের উত্তেজনা বৃদ্ধি ও হামলার হুমকি কৃষ্ণসাগর দিয়ে সমুদ্রপথে সব ধরনের শস্যের চালান বন্ধ করে দিতে পারে। আর এমন হলে যুদ্ধের শুরুতে যে চিত্র দেখা গিয়েছিল, এখনো সেই একই পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স এবং তুরস্ককে সামরিক কনভয়সহ শস্য জাহাজগুলোকে রক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনের সাংসদ ওলেক্সি গনচারেঙ্কো। সেইসঙ্গে ওডেসাকে বিমান প্রতিরক্ষা সরবরাহ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।