আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ জুলাই, ২০২৩ ০৯:০৯ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ১৬৬ বার
যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া ভয়ংকর গুচ্ছবোমা রাশিয়ার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ইউক্রেন ব্যবহার করা শুরু করেছে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। আজ শুক্রবার (২১ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, ‘তারা (ইউক্রেন) যথাযথ ও কার্যকরভাবেই গুচ্ছবোমা ব্যবহার করছে। এগুলো আসলেই রাশিয়ার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও কৌশলের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে।’
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রুশ বাহিনীকে মোকাবিলায় ইউক্রেনকে গুচ্ছবোমা দেওয়ার কথা জানান। এ সময় অজুহাত হিসেবে কিয়েভের গোলাবারুদ শেষ হয়ে আসছে বলে দাবি করেন তিনি।
মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান জানান, গুচ্ছবোমার ক্ষতি সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্র সচেতন আছে। তবে রুশ সেনারা ইউক্রেনের যত বেশি ভূমি দখল করবে তত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে ইউক্রেনের নাগরিকরা। ফলে গোলাবারুদ সংকেট থাকা ইউক্রেনকে সহায়তা করতেই এমন সিদ্ধান্ত।
ইউক্রেনকে ভয়ংকর গুচ্ছবোমা দেওয়ার সিদ্ধান্তে আমেরিকার ওপর নাখোশ রাশিয়াসহ মার্কিন মিত্ররাও। সমালোচকরা বলছেন, এর মাধ্যমে নিজেদের হিংস্র মূর্তি আবার সামনে নিয়ে এলো যুক্তরাষ্ট্র।
যদিও এসব গুচ্ছবোমা রাশিয়ার ভূখণ্ডে ব্যবহার করা হবে না বলে জানায় ইউক্রেন। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী অলেক্সি রেজনিকভ বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া এসব গুচ্ছবোমা রাশিয়ার ভূখণ্ডে ব্যবহার করবে না ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। শুধু ইউক্রেনের বেদখল হওয়া ভূখণ্ডমুক্ত করতেই এসব বোমা ব্যবহার করবে তার বাহিনী।
বর্তমানে বিশ্বের ১২৩টি দেশে নিষিদ্ধ এই বোমা। নির্বিচারে বেসামরিক নাগরিকদের মৃত্যুর জন্য দায়ী হওয়ায় এই ধরনের বোমার ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়। এ ছাড়া এসব বোমা অবিস্ফোরিত অবস্থায়ও অনেক বছর থেকে যায়। ফলে যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরও ঝুঁকিতে থাকে সাধারণ নাগরিকরা।
এর আগে ইউক্রেন যুদ্ধের শুরুতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে এই ধরনের বোমা ব্যবহারের অভিযোগ এনে ঘটনাটিকে যুদ্ধাপরাধ বলে আখ্যা দিয়েছিল মার্কিন প্রশাসন।