আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ জুলাই, ২০২৩ ১৮:০৬ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ১৬০ বার
ভারতের কাশী বিশ্বনাথের মন্দিরর পাশেই অবস্থিত ঐতিহাসিক জ্ঞানবাপী মসজিদের চত্বরে এবার সমীক্ষা চালাবে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। হিন্দু পক্ষের এক মামলার পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার (২১ জুলাই) বারাণসী জেলা আদালত জ্ঞানবাপী মসজিদ প্রাঙ্গণে বিজ্ঞান ভিত্তিক সমীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে।
তবে আদালতের নির্দেশ মসজিদের সব জায়গায় বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা চালানো যাবে না। মসজিদের ভিতরে ‘বিতর্কিত ওজুখানা’ ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে রাখা রয়েছে।
ওযুখানায় শিবলিঙ্গ থাকার দাবি নিয়ে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে। তাই মসজিদের সেই অংশে সমীক্ষা চালানো যাবে না। তবে মসজিদ চত্বরের বাকি অংশে কোনও ক্ষয়ক্ষতি না করে খনন করার অনুমতি দিয়েছে আদালত। আদালত এএসআইকে ৪ আগস্টের মধ্যে বিজ্ঞান ভিত্তিক রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে।
এদিন মামলাকারীদের পক্ষে বিষ্ণুশঙ্কর জৈন বলেন, আমাকে বলা হয়েছে আমাদের আবেদনের অনুমোদন মিলেছে। আদালত জ্ঞানবাপী মসজিদ প্রাঙ্গণের এএসআই সমীক্ষা করতে নির্দেশ দিয়েছে। তবে এর মধ্য নেই ওয়াজু ট্যাঙ্ক। যেটি ব্যারিকেড (সিল) করা আছে।
উত্তরপ্রদেশ সরকারের সরকারি আইনজীবী রাজেশ মিশ্র জানিয়েছেন, জ্ঞানবাপী কমপ্লেক্স এলাকায় সার্ভে করার অনুমতি চেয়ে যে আবেদন করা হয়েছিল সেটার অনুমিত মিলেছে। আদালত নির্দেশ দিয়েছে, অযুখানার ব্যারিকেড এলাকা বাদ দিয়ে বাকি অংশে সার্ভে করতে পারবে আইএসআইয়ের টিম।
তবে অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি এদিন আদালতের এমন রায়ের তীব্র বিরোধিতা জানায়। তাদের দাবি গত বছরের মে মাসে এই ধরনের সার্ভে আগেই হয়েছে।
চলতি বছরের মে মাসে চার হিন্দু মহিলা ভক্ত বারাণসীর নিম্ন আদালতে মামলা করে দাবী করেন মসজিদ চত্তরে হিন্দু মন্দির থাকার চিহ্ন মিলেছে। মামলার পিটিশানে বলা হয় স্বয়ম্ভু জ্যোতির্লিঙ্গ সেখানে অনেক বছর ধরে আছে।
মামলাকারীদের পক্ষে আইনজীবী বিষ্ণুশঙ্কর জৈন সেসময় বলেন, কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ও জ্ঞানবাপী মসজিদ সমস্যার সমাধান সম্ভব একমাত্র মসজিদ প্রাঙ্গণের আর্কিওলজিক্যাল তদন্তের মাধ্যমে।
এরপরেই নিম্ন আদালতে যাতে এই মামলাটি শোনা না হয় এই দাবি নিয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টের দারস্ত হয় মসজিদ কমিটি। তবে সেই আবেদন খারিজ তখন করেছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের নির্দেশে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের একটি অংশ ভেঙে জ্ঞানবাপী মসজিদ তৈরি করা হয় বলে স্থানীয় হিন্দুরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি তুলে আসছে। তারই প্রেক্ষিতে মসজিদটি ভেঙে ফের মন্দির করার দাবিতে ১৯৯১ সালে প্রথমবারের মতো জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে মামলা দায়ের হয়।
মামলকারীর তরফে সেসময় এএসআই সমীক্ষার দাবি করা হয়েছিল। তারপর থেকে বিতর্কিত এই মসজিদ নিয়ে একাধিক মামলা হয়েছে। তবে জ্ঞানবাপী মসজিদ সব থেকে বেশি আলোচনায় আসে মন্দিরের ওযুখানায় শিবলিঙ্গ থাকার দাবি উঠার পরে ।