আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ৩১ জুলাই, ২০২৩ ১০:৫৬ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ১৬১ বার
পাকিস্তানে রাজনৈতিক সভায় আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪৪ জন। আহতদের সংখ্যা প্রায় দেড় শতাধিক। সীমান্তবর্তী খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে কট্টরপন্থি ইসলামী দল জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলাম-ফজলের (জেইউআই-এফ) কর্মী সম্মেলনে ভয়াবহ এই হামলায় হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে দলটির স্থানীয় কয়েকজন নেতাও রয়েছেন বলে জানা গেছে। খায়বার পাখতুনখোয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী রিয়াজ আনোয়ার সংবাদমাধ্যম এএফপিকে জানিয়েছেন, নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪৪ জন। সংবাদমাধ্যম ডন ও জিও নিউজটিভি ও এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাওলানা লায়েক কনভেনশন হলে চলা ওই কর্মী সম্মেলনে প্রায় পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মতে, জেইউআই-এফ নেতার বক্তৃতার সময় ভয়াবহ বোমা হামলায় দেড় শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। জেলা জরুরি কর্মকর্তা বলেন, আহতদের তিমারগাড়া এবং পেশোয়ারে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে।
জিও নিউজটিভির প্রতিবেদনে এমনটি জানানো হয়েছে। রোববার (৩০ জুলাই) বাজাউরের খার জেলায় কট্টরপন্থি ইসলামী দলটির কর্মী সম্মেলনে হামলার এই ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে একজন জিও নিউজের ক্যামেরাম্যান সামিউল্লাহ রয়েছেন এবং তাকে লোয়ার দিরের জেলা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে কারণ তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
জেইউআই-এফ দলটির খাইবার পাখতুনখোয়া মুখপাত্র আব্দুল জলিল খান জিও নিউজকে বলেন, মাওলানা লায়েক কনভেনশনে ভাষণ দেওয়ার সময় বিকেল ৪টার দিকে বিস্ফোরণটি ঘটে।
প্রাদেশিক মুখপাত্র বলেন, জেইউআই-এফ এমএনএ মাওলানা জামালউদ্দিন এবং সিনেটর আবদুল রশিদ সম্মেলনের সময় উপস্থিত ছিলেন। তিনি নিশ্চিত করেছেন যে নিহতদের মধ্যে একজন জেইউআই-এফ-এর তেহসিল খার আমির মাওলানা জিয়াউল্লাহ রয়েছেন।
এর আগে বাজাউরের খার জেলার হেলথ অফিসার ফায়সাল কামাল জানিয়েছেন, নিহতের সংখ্যা ৪৫। ইতোমধ্যে ১৫০ আহত মানুষকে বাজাউর ডিস্ট্রিক্ট হেডকোয়ার্টারস হসপিটালে নেয়া হয়েছে। আর গুরুতর আহতদের সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টরে পেশোয়ারে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে।