ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৭ অগাস্ট, ২০২৩ ১০:০২ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ২০৩ বার
সিঙ্গাপুরে অর্থপাচার ও জালিয়াতির বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযান চালিয়েছে দেশটির পুলিশ। অভিযানে এক নারীসহ ১০ বিদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একইসঙ্গে প্রায় ১০০ কোটি সিঙ্গাপুরি ডলারের নগদ অর্থ, সম্পত্তি, বিলাসবহুল গাড়ি এবং অন্যান্য সম্পদ জব্দ করেছে পুলিশের বিশেষ বাহিনী। সিঙ্গাপুরভিত্তিক সংবাদমাধ্যম স্ট্রেইটস টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
পুলিশের বরাত দিয়ে স্ট্রেইটস টাইমস প্রতিবেদনে জানায়, মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) সন্দেহভাজন মুদ্রা পাচারকারীদের ধরতে সিঙ্গাপুরজুড়ে অভিজাত আবাসিক এলাকাগুলোতে একসঙ্গে অভিযান চালানো হয়।
৪০০ এর বেশি সদস্য নিয়ে করা পুলিশের এই অভিযানে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি ৯৪টি সম্পত্তি এবং ৫০টির বেশি বিলাশবহুল গাড়ির মালিকানা বাতিল করা হয়েছে। যার মোট আনুমানিক মূল্য ৮১ মিলিয়ন সিঙ্গাপুরি ডলারেরও বেশি। একই সাথে একাধিক অলংকার এবং মদের বোতলও জব্দ করা হয়েছে। এগুলো ছাড়াও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, নগদ টাকা, বিলাসবহুল ব্যাগ, ইলেকট্রনিক ডিভাইস এবং ভার্চুয়াল সম্পদের তথ্যসহ কিছু নথিপত্রও জব্দ করা হয়েছে।
এছাড়াও তদন্তের জন্য এবং অর্থপাচার রোধে পুলিশ ৩৫টিরও বেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করেছে। যার আনুমানিক মূল্যমান ১১০ মিলিয়ন ডলারের বেশি।
পুলিশ আরো জানায়, গ্রেপ্তারকৃত বিদেশিদের সবার বয়স ৩১ থেকে ৪৪ বছরের মধ্যে। তাদের বিরুদ্ধে জালিয়াতি, অর্থপাচার ও গ্রেপ্তার প্রতিহত করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ আনা হচ্ছে। এছাড়াও, মুদ্রা পাচারের সঙ্গে জড়িত আরও ৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত প্রত্যেক ব্যক্তির কাছেই বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকার, মদসহ মূল্যবান সামগ্রী পাওয়া গিয়েছে এবং তারা চীন, তুরস্ক, সাইপ্রাস, ক্যাম্বোডিয়া এবং নি-ভানুয়াতুর নাগরিক। তবে এ পর্যন্ত এই অভিযানে কোনো বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া যায়নি।
সিঙ্গাপুরের কমার্শিয়াল অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্টের (সিএডি) ডিরেক্টর ডেভিড চিউ বলেছেন, সিঙ্গাপুরকে এই ধরনের অপরাধের কেন্দ্র হওয়া থেকে রক্ষা করতেই পুলিশ ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট একসঙ্গে কাজ করবে।
ডেভিড চিউ আরো বলেন, ‘সিঙ্গাপুরকে অপরাধীদের আশ্রয়স্থল হতে দেওয়া হবে না। আমাদের ব্যাংকিং খাত অপব্যবহার রোধেও আমাদের জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে। এই অপরাধীদের প্রতি আমাদের বার্তা সহজ— আমরা আপনার অপরাধ জানতে পারলে গ্রেপ্তার করবই। পাচার বা দুর্নীতি করে গড়া সম্পদ বাজেয়াপ্ত করব। আমরা আমাদের আইন অনুযায়ী আপনাদের মোকাবিলা করব।’
এদিকে আলাদা বিবৃতিতে সিঙ্গাপুরের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, সম্ভাব্য জালিয়াতির অর্থ যেখানে চিহ্নিত করা হয়েছে সেসব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (এফআই) সঙ্গে তারা যোগাযোগ রাখছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে নজরদারির কাজ চলছে। তবে এ সমস্ত প্রতিষ্ঠানের নাম বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়নি ।