ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১২:০২ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ২৭০ বার
৫ সেপ্টেম্বর, আজ বিশ্ব সমুচা দিবস। দিবসটির যাত্রা শুরুর দিনক্ষণ যথাযথভাবে জানা যায় না। তবে বাঙালির এমন একটা প্রিয় খাবারের জন্য বিশেষ দিবসই রয়েছে একটি, এটিও তো বেশ চমকজাগানিয়া তথ্য। সমুচাপ্রিয় ভোজনরসিকেরা, দিবসটি কিন্তু উদ্যাপন করতেই পারেন।
বাদাম, পেস্তাবাদাম, পেঁয়াজ ও মশলার মিশেলে সিদ্ধ মাংসের কিমা গমের আটার পাতলা মোড়কে মুড়িয়ে ঘন ঘিয়ে ভাজা খাবার মোটামুটি এভাবেই সমুচাকে সংজ্ঞায়িত করেছেন বিখ্যাত পর্যটক ইবনে বতুতা। তবে কালের পরিক্রমায় বাদাম-পেঁয়াজ-মশলা-মাংসের কিমার পাশাপাশি এতে যুক্ত হয়েছে আরো নানা রকম উপাদান।
বাংলাদেশ, ভারত কিংবা পাকিস্তানে খাবারটি এতো জনপ্রিয় যে, রেস্তোরাঁ থেকে শুরু করে রাস্তার পাশের দোকানেও পাওয়া যায়।
ন্যাশনাল টুডের তথ্য বলছে, দশম শতাব্দীর গ্যাস্ট্রোনমিক সাহিত্যে সমুচার উল্লেখ পাওয়া যায়। অনেক মধ্যযুগীয় ফার্সি বইয়ে 'সানবোসাগ' উল্লেখ আছে। যা সমুচার প্রাথমিক আকৃতি ও পারস্য পেস্ট্রির কাছাকাছি একটি খাবার।
আবার ঐতিহাসিক বিবরণে 'সাম্বুসাক', 'সাবুসাক', এমনকি 'সানবুসাজ'কে ছোট ছোট কিমা ভরা ত্রিভুজ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। যেগুলো তখনকার ভ্রমণরত বণিকরা ক্যাম্পফায়ারের চারপাশে বসে খেতেন।
এই তথ্য সূত্র অনুসারে, ওই সময় বণিকরা মধ্য এশিয়া থেকে উত্তর আফ্রিকা, পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়ায় ভ্রমণ করেছিলেন। তারা যেখানে গিয়েছিলেন সেখানে সমুচাও পৌঁছেছিল।
চতুর্দশ শতাব্দীতে ইবনে বতুতা যখন ভারত সফর করেন, তখন তিনি মুহাম্মদ বিন তুঘলকের দরবারে ভোজসভার একটি খাবারের কথা নথিভুক্ত করেন। সেটি ছিল ত্রিভুজ পেস্ট্রিতে কিমা, মটর, পেস্তা, বাদাম দিয়ে ভরা একটি খাবার।