ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১৪:১৫ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ২২৯ বার
ডেঙ্গুতে মৌসুমের দুই মাস বাকি থাকতেই মৃত্যু ছাড়িয়েছে ৭শ। এরমধ্যে সেপ্টেম্বরের প্রথম আট দিনেই প্রাণ গেছে ১১৩ জনের। এমন বাস্তবতায় পরিস্থিতি ভবিষ্যতে আরও বড় বিপদের দিকে যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডব্লিউএইচও।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জরুরি অবস্থা জারি করে এডিসের লাগাম টানতে না পারলে ডেঙ্গু হবে সারা বছরের অসুখ।
তিন বছরের আবরারের কাশি গেল ৭ দিনে যেন আরও বেড়েছে। কিছু মুখে নিলে মুহুর্তেই বমি। খেতে না পারায় দুর্বল হয়ে পড়েছে শরীর। দেখা দিয়েছে পানি শূন্যতা। তাইতো তার ঠাই হয়েছে রাজধানীর শিশু হাসপাতালে।
আবরারের মা জানায়, কয়েকদিন ধরে কাশি বেড়েই চলছে। এখন কিছুটা সুস্থ। পাশের বিছানায় চিকিৎসা নিচ্ছেন ১০ বছর বয়সী এক শিশু। ১ মাস ধরে থেমে থেমে জ্বর হলেও ডেঙ্গু নেগেটিভ। এক এক রোগীর ক্ষেত্রে এমন পরিবর্তন যেন বাড়িয়ে দিচ্ছে ভয়।
চিকিৎসকরা বলছেন, ডেঙ্গু একাধিকবার আক্রান্ত হওয়ার ফলেই মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ছে। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে তাদের অনেক ক্ষেত্রে হিট স্ট্রোক, লিভারের সমস্যা, কিডনি বিকল, এমনকি ব্রেন স্ট্রোকও হতে পারে বলে জানান, সোহরায়ার্দী হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম।
ডেঙ্গুর লাগাম টানতে জরুরি অবস্থা জারি করে সমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন বলে মত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বে-নজির আহমেদের। তিনি জানান, জরিপের মাধ্যমে প্রতিটি এলাকা ভিত্তিক এডিস মশার বিস্তার ঠেকাতে পদক্ষেপ নিতে হবে।
এদিকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গ্যাব্রিয়েসুস গত বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, রেকর্ড ডেঙ্গু সংক্রমণ দেখছে বাংলাদেশ। শুধু আগস্টেই তিন শতাধিক মানুষ মৃত্যু বরণ করেছেন। ডেঙ্গুর ভয়াবহতা দেশটির স্বাস্থ্যখাতের ওপর অতিরিক্ত চাপ ফেলেছে। সবচেয়ে ভয়াবহ ডেঙ্গু সংক্রমণের কবলে বাংলাদেশ।