ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১ অক্টোবর, ২০২৩ ০৮:৫২ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ১৫৫ বার
বস্তি নামের কলঙ্কমুক্তির প্রকল্পের মধ্যেই নতুন করে গড়ে উঠেছে বস্তি। এমন ঘটনা রাজধানীর ভাষানটেক পুনর্বাসন প্রকল্পে। স্বার্থান্বেষীরা দখল করে নিয়েছে নিম্নআয়ের মানুষদের জন্য বরাদ্দ প্রকল্পের জমি।
বিআরপির এলাকায় ঢুকলেই বড় বড় অট্টালিকার পাশে দেখা যায় কয়েকশ টিনেশেড ঘর। বস্তিবাসীদের জীবন মান উন্নয়নের জন্য যে প্রকল্প, সেই প্রকল্পের ভিতরেই গড়ে উঠছে নতুন বস্তি।
অভিযোগ আছে, ক্ষমতাশীন দলের নাম ভাঙিয়ে একটি সিন্ডিকেট সরকারি জায়গা দখল করে গড়ে তুলেছে এই বস্তি। এখানে এক একটি রুম ভাড়া দেয়া হয় তিন হাজার টাকায়।
সেখানে বসবাসরতদের ভাষ্য, এখানে আমরা ভাড়া দিয়ে থাকি, এক রুম তিন হাজার টাকা করে দিতে হয় আমাদের।
৯৫ নম্বর ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহনাজ। তিনিও থাকেন দখল করা জায়গায়। শুধু তাই না, অভিযোগ আছে তিনিও সরকারি জমি দখল করে কয়েকটি ঘর তুলেছেন। তবে অনেক চেষ্টা করেও এ ব্যাপারে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অভিযুক্তের তালিকায় আছেন আক্তার ও কানা জাহাঙ্গীর নামের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নাম। যাদের দখলে আছে ৪০টি ঘর।
দখলদার আক্তার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সবাই ঘর করে ভাড়া দিচ্ছে, আমরাও দিচ্ছি। মন্ত্রণালয় তো সব সময় বাধা দেবেই। আমাদেরও তো চলতে হবে, বাঁচতে হবে।
এ ছাড়া পেট কাটা আবুল, মনির, মোস্তফা, সামসুসহ এলাকার প্রভাবশালী আরও কয়েকজনের নামে আছে একাধিক বস্তি ঘর। তবে এসব নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি কেউই।
এ নিয়ে বিআরপির নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলামের অসহায় স্বীকারোক্তি। তিনি বলেন, প্রভাবশালীদের চাপে তারাই কোনঠাসা।
এই প্রকৌশলী বলেন, এই বিষয়ে ২৯টি থানায় অভিযোগ রয়েছে। থানা কর্তৃপক্ষ এগুলো বিবেচনা করছেন। এ ছাড়া মন্ত্রণালয়ে আমরা লিখিতভাবে বিষয়গুলো জানিয়েছি।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের চেয়ে তাদের পেশী শক্তি কম বলা যাবে না। কারণ, তারা এ বিশাল রাজত্ব এখানে কায়েম করে রেখেছে।